Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
গাজা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এখন পেরেকভর্তি ড্রোন মিসাইল ব্যবহার করছে, যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বেসামরিক জনগণ— বিশেষ করে শিশু ও নারী। চিকিৎসকদের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার যেসব শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়েছে, তাদের অনেকের শরীরে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন এবং ধাতব বস্তু বিদ্ধ হওয়ার গভীর ক্ষত রয়েছে।
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, এই ধরনের মিসাইলে ছোট ছোট পেরেক ঠেসে ভরা হয়। বিস্ফোরণের সময় তা ছড়িয়ে পড়ে, এবং দেহে প্রবেশ করে ভয়াবহ অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ঘটায়। এটাই অধিকাংশ মৃত্যুর প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। তারা জানান, প্রতিটি জীবন বাঁচাতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে আহতদের সংখ্যা ও জখমের প্রকৃতি অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
গত ৪০ দিন ধরে গাজায় ড্রোন হামলার পরিমাণ মারাত্মকভাবে বেড়েছে। লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে জনবহুল এলাকা— বাজার, খাবার বিতরণ কেন্দ্র কিংবা পানি সংগ্রহের লাইনে দাঁড়ানো মানুষ।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে, তারা ‘নির্ভুল প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র’ ব্যবহার করছে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দৃশ্য, আহত শিশুদের অবস্থা, এবং হাসপাতালের ভেতরের বিভীষিকাময় পরিবেশ— সবকিছুই বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষ্য দিচ্ছে।