- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আনিস আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নেতাদের সম্মান করে, জুলাই চেতনাকে ধারণ করে ছাত্র নেতারা রাজপথে দাপিয়ে বেড়াতে পারতেন, আজ তাদের চলাফেরায় লাগছে সেনাপাহারা। তিনি বলেন, ইতিহাস বলে, যারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছে, তাদেরই নাম মুছে গেছে। এনসিপি কি পারবে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে? আজ সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি একথা বলেন।
আনিস আলমগীর বলেন, এনসিপির প্রধান নাহিদ ইসলাম গোপালগঞ্জ গিয়ে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিয়েছেন তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে।
সফরের আগে তারা সরাসরি উস্কানি দিয়েছেন, তাদের বিদেশি পীর, দেশীয় পরামর্শদাতাদের উস্কানিতে পা দিয়ে— বঙ্গবন্ধুর নাম গোপালগঞ্জ থেকে মুছে ফেলার কথা বলেছেন। এমনকি জুলাই পদযাত্রার নাম পরিবর্তন করে করেছেন ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’। এটা কোনো নিছক কাকতালীয় ব্যাপার নয়, এটা ছিল প্রতীকী আগ্রাসন।
তিনি বলেন, এইসব উস্কানির প্রতিক্রিয়া কি হয়েছে, এখন তা চোখে পড়ছে।
দেখা যাচ্ছে, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ছাড়া তারা দেশের কোথাও এক পা ফেলতে পারছে না। আর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—কেন এই নিরাপত্তা? কেন তাদেরকে এমন ভিআইপি সুরক্ষা দিতে হবে? অন্য রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে আগামীতে ক্ষমতায় যেতে চাওয়া বিএনপি, এই প্রশ্ন উঠাচ্ছে জোরেশোরে। তারেক জিয়া দেশে আসলে কি তখন তাকে এসএসএফ দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হবে, কারণ ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাব্য নেতা হিসেবে তার নামই তো সবার আগে আসছে। সুতরাং তার জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তো সবার থেকে বেশি।
তিনি আরো বলেন, লক্ষণীয় বিষয় হলো, স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবজ্ঞা করে গোপালগঞ্জে বক্তৃতা দিয়ে এসে নাহিদ এখন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ হিসেবে উপস্থাপন করে একটি রাজনৈতিক ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ভারসাম্য কি আসলেই বাস্তবসম্মত? এদের বক্তব্য এবং কাজকর্মে মনে হয়—শেখ মুজিব ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে! এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্থাপনা, ভাস্কর্য, আলপনা, মুরাল—সব জায়গা থেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম-চেহারা মুছে ফেলার এক অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় নেমেছে তারা। ইউনূস সরকার তাদেরকে খুশি করতে নতুন মুদ্রা থেকেও বঙ্গবন্ধুর ছবি তুলে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধিতায় এনসিপি সবচেয়ে সরব দল উল্লেখ করে আনিস আলমগীর বলেন, তাদের বক্তব্যে, কার্যক্রমে, ভাষায় এই বিদ্বেষ ফুটে উঠছে। আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার একমাত্র নৈতিক দায়িত্ব যেন তারা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।