কে এম শাকীর,নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশকে অমান্য করে অবাধে চলছে অবৈধ লটারির টিকেট বিক্রি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে দুই টিকেট বিক্রেতাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দন্ড প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,চলতি মাসের ১০ তারিখে জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প মেলা ও বিভিন্ন মেলার নামে র্যাফেল ড্র ,হাউজি,লটারী,জুয়া ইত্যাদি আয়োজন করা হচ্ছে,যা সম্পূর্ণ বে-আইনী। এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় অবাধে মেলা ও লটারী চলছে।
এতে পার্শ্ববর্তী উপজেলা গুলোতে লটারীর পুরুস্কার হিসাবে স্বর্ণ,মোটর সাইকেল,ফ্্িরজ ও টেলিভিশনসহ বিভিন্ন লোভনীয় পুরুস্কারের নামে অবাধে বিক্রি করছে লটারীর টিকেট। আর এসব টিকেট ক্রয় করে উঠতি বয়সের ছেলেরা রাতের বেলা সৈয়দপুরে ছুটে যাচ্ছেন লটারী ও হাউজি খেলতে। এ নিয়ে অভিভাবকরা রয়েছে উদ্বিগ্ন।
সকাল থেকে রাত ৮ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন হাটে বাজারে অটোরিক্সায় করে এসব টিকেট বিক্রি করছে লটারী ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিকে টিকেট বিক্রেতারাও নিয়েছে নতুন কৌশল। তারা বাজারের অলি গলিতে গিয়ে টিকেট বিক্রি করেই চলছে।
নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার ব্রাহ্মনপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে আনিছুর রহমান (৪০) টিকেট বিক্রেতা বলেন আমরা ২০-২৫জন টিকেট বিক্রি করছি। আমি টিকেট বিক্রি করলে পারিশ্রমিক হিসাবে ৭শ টাকা পাবো।
এ ব্যাপারে লটারী টিকেট বিক্রির ম্যানেজার মামুন ০১৯১৯৫৫৪০৫১ কথা হলে তিনি বলেন, স্থানীয় স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই টিকেট বিক্রি করছি।
লটারীর পরিচালক আমির আলী বলেন,আপনাদের সহযোগীতা পেলে ভালো লটারী করতে পারবো, জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে কিছু বলার দরকার নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন,লটারীর টিকেট ক্রিতাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের আটকের ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামানের সরকারী নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।