Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনায় সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সেই ভয়াবহ মুহূর্তের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন স্কুলটির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন।
বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, “একটা প্রচণ্ড শব্দ শুনেই আমি রুম থেকে বের হই। দেখি একাংশ পুরো ধসে গেছে, সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। আগুনের মাত্রা দ্রুত বাড়ছিল।”
তিনি জানান, কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে তিনি গ্রিল ভেঙে ১২-১৩ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। শিক্ষক নাসির বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাকে নাম ধরে ডাকছিল—‘স্যার, আমাদের বাঁচান’। ওদের চোখে-মুখে ভয় আর কান্না।”
পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী। কিছু সময় পর নিজ অফিসে ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর কক্ষে বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়েছিলেন পাইলট। পরে সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় তাঁকে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে কুর্মিটোলায় নিহত পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম সাগরের জানাজা ও ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বলেন, “পাইলট শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন জনবহুল এলাকা এড়িয়ে খালি জায়গায় নামাতে। সে চেষ্টায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।”
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর। গঠিত হয়েছে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।