27 C
Dhaka
শুক্রবার, জুলাই ২৫, ২০২৫

কেন বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ার পর আগুন ধরে যায় ?

জনপ্রিয়
খবরের দেশ ডেস্ক :
 বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাটিতে পড়ার পর আগুন ধরার মূল কারণ হলো জ্বালানি এবং তীব্র গতির সংঘর্ষ। বিমানের জ্বালানি (জেট ফুয়েল) অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ, এবং যখন বিমান মাটিতে প্রচণ্ড গতিতে আছড়ে পড়ে, তখন সৃষ্ট ঘর্ষণ, চাপ, বা কোনো ধাতব অংশের মধ্যে স্ফুলিঙ্গ তৈরি হতে পারে।
এই স্ফুলিঙ্গ সহজেই জ্বালানিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও, বিমানের বৈদ্যুতিক সার্কিট এবং ইঞ্জিনের উচ্চ তাপমাত্রাও আগুন লাগার কারণ হতে পারে।
এটা আসলে এমন একটা চেইন রিয়্যাকশন যেখানে মাটিতে আঘাতের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি শক্তি এবং বিমানের অভ্যন্তরীণ তাপ—দুটো মিলে অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।
কিছু কারণে হতে পারে। তবে, বিমানে খুব সামান্য আঘাত লাগলেই বা ছোট কোনো সমস্যা হলেই আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা সাধারণত ঘটে না। বিমানের ডিজাইন, প্রযুক্তি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে না। তবে কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে আগুন ধরার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। এর কিছু কারণ নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. জ্বালানি বা তেল নির্গমন
বিমান যে জ্বালানি ব্যবহার করে (যেমন কেরোসিন) তা অত্যন্ত দাহ্য (flammable)। বিমানের ইঞ্জিন বা অন্য কোনো অংশে আঘাত পেলে জ্বালানি বা তেলের লিকেজ হতে পারে, যা আগুনের সৃষ্টির জন্য সঠিক পরিস্থিতি তৈরি করে।
২. বিদ্যুৎ সমস্যা
বিমানের ইলেকট্রনিক সিস্টেমে বা তারযুক্ত ব্যবস্থা (wiring) কোনো ধরনের সমস্যা হলে শর্ট সার্কিট বা বিদ্যুৎ স্পার্ক হতে পারে। এ ধরনের স্পার্ক যদি জ্বালানি বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থের সঙ্গে মিশে যায়, তবে আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে।
৩. অত্যাধিক তাপমাত্রা
বিমানের ইঞ্জিন বা অন্যান্য অংশের তাপমাত্রা অত্যন্ত বেশি হতে পারে যদি কোনো মেকানিক্যাল বা অপারেশনাল সমস্যা ঘটে। এ অবস্থায় তাপমাত্রা অতিরিক্ত বাড়লে, তা যেকোনো দাহ্য পদার্থের সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে আগুন ধরতে পারে।
৪. নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি
কোনো বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা ফায়ার সিস্টেম যদি ঠিকমতো কাজ না করে বা কোনো কারণে তা অকার্যকর হয়ে যায়, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
৫. বাইরের আঘাত
কোনো দুর্ঘটনার কারণে বিমানের বাহ্যিক অংশে আঘাত পেলে (যেমন বিমানটির ককপিট বা ইঞ্জিনে আঘাত), বাইরে থেকে আগুন লেগে বিমানটির ভিতরের অংশে ছড়িয়ে পড়তে পারে, বিশেষ করে যদি জ্বালানি বা অন্যান্য দাহ্য উপাদান মজুদ থাকে।
৬. অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা
বিমানে সাধারণত আগুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থাকে, যেমন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র (fire extinguishers) এবং অগ্নি সংবেদনশীল প্রযুক্তি। কিন্তু, কোনো একটি সিস্টেম যদি ব্যর্থ হয় বা ভুল ব্যবহৃত হয়, তবেও আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এখানে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে, আধুনিক বিমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং আগুন বা অন্যান্য জরুরি অবস্থায় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম। বিমানের সকল যাত্রী ও ক্রুদের সুরক্ষার জন্য সব ধরনের সতর্কতা নেওয়া থাকে।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

খবরের দেশ ডেস্কঃ ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আসা সাত সরকারি কলেজের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। পরীক্ষাটি...