Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোরে কম্বোডিয়ার একটি সামরিক স্থাপনায় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। উভয় দেশ এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। চলমান উত্তেজনায় ইতোমধ্যে এক শিশুসহ নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে থাই সেনাবাহিনী।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনীর উপ-মুখপাত্র রিচা সুকসুয়ানোন জানান, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’ হামলার পর থাইল্যান্ড তাদের কম্বোডিয়া সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
অন্যদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, থাই যুদ্ধবিমান দুটি বোমা ফেলে একটি রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ হামলাকে ‘নির্মম সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে।
এই সংঘর্ষের জন্য উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছে। থাইল্যান্ডের অভিযোগ, কম্বোডিয়ান সেনারা থাই সামরিক ঘাঁটির ওপর ভারী কামান হামলা চালিয়েছে, যা একটি হাসপাতালসহ বেসামরিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।
থাই সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ক্যাম্বোডিয়া সীমান্তে রকেট লঞ্চার ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করেছে। এছাড়া একটি নজরদারি ড্রোনও পাঠানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের সুরিন ও উবন রাতচাথানি প্রদেশে আর্টিলারি হামলার কারণে হাজারো মানুষ বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন। এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কম্বোডিয়া থাই বাহিনীকে ‘বিনা উসকানিতে আগ্রাসন চালানো’ বলে অভিযুক্ত করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকতে বলেছে।
সীমান্তে ১৮৭০ সাল থেকে বিরোধ থাকলেও এবারকার উত্তেজনা সামরিক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা,