27 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ২৭, ২০২৫

গাজার ধ্বংসস্তূপ পেরিয়ে দুই পরিবারের বেঁচে থাকার লড়াই

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ

২১ মাস ধরে চলমান যুদ্ধ ও অনাহারের মুখে গাজার দুই প্রান্তের বাকরুন ও আল-বারিম পরিবার অসংখ্যবার পাড়ি দিয়েছে বিধ্বস্ত গাজার পথে। ক্ষুধা, বোমা হামলা ও নিরাপত্তাহীনতা থেকে বাঁচার আশায় তারা ঘর ছেড়েছে, শরণ নিয়েছে আত্মীয়দের বাসায়, স্কুলের শ্রেণিকক্ষে, এমনকি তাবুতেও।

উত্তরের বাকরুন পরিবার মে মাসে তাদের দুই শিশুকে এক বিমান হামলায় হারানোর পর থেমে যায়। দক্ষিণের আল-বারিম পরিবার তাদের প্রতিবন্ধী শিশুকে হুইলচেয়ারে চাপিয়ে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

“আমাদের জীবনের গল্প হলো — ঘরছাড়া, আপনজন হারানো, ক্ষুধা, অপমান আর হতাশার,” বলেন ৩৮ বছর বয়সী নিজার বাকরুন, যিনি মেয়ে ওলিনা (১০) এবং ছেলে রেবহি (৮)-কে হারিয়েছেন।

জাতিসংঘ বলছে, গাজার ৯০ শতাংশ মানুষই বাস্তুচ্যুত। ইসরায়েলের হামলা ও অবরোধে খাদ্যাভাব চরমে।

আগে নিজার থাকতেন গাজা সিটির শেজাইয়া এলাকায়। সুখী পরিবার, সমুদ্রসৈকতে ভ্রমণ, বাসায় উৎসব — এসব এখন স্মৃতি। অক্টোবর ৭-এর হামলার পরদিনই পরিবার নিয়ে দক্ষিণে চলে যান। এরপর বারবার স্থান বদল, একাধিক হামলা — শেষ পর্যন্ত মে মাসে এক বিমান হামলায় দুই সন্তান নিহত ও স্ত্রী-সন্তান আহত হয়।

অন্যদিকে, শিক্ষক মাজেদ আল-বারিম তার দুই বছরের ছেলে ও প্রতিবন্ধী ভাগ্নেকে নিয়ে বারবার স্থান পরিবর্তন করেছেন। হাঁটতে হাঁটতে একবার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন, ধ্বংসস্তূপে ঘেরা রাস্তায় চার ঘণ্টা সময় লেগেছিল পাঁচ মাইল যেতে।

“দুই বছর ধরে যুদ্ধ, ক্ষুধা, ধ্বংস আর আশ্রয়হীনতার মধ্যে আছি,” বলেন মাজেদ। “কেউ সহ্য করতে পারবে না আমাদের মতো যন্ত্রণা।”

সূত্র: রয়টার্স

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

নদীতে ইলিশ নেই, হতাশ জেলে, চড়া দামে বিপাকে ক্রেতা

খবরের দেশ ডেস্কঃ ইলিশের মৌসুম চলছে পুরোদমে, কিন্তু বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। প্রতিদিন শত শত...