Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত থাইল্যান্ডের চারটি সীমান্ত প্রদেশ থেকে ১ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের অনেকে ঠাঁই নিয়েছেন সুরিন প্রদেশের স্পোর্টস হলগুলোতে, যেখানে শত শত মানুষ ঘুমাচ্ছেন প্লাস্টিকের মাদুরে, মাথার ওপরে শুধু ছাউনির ব্যবস্থা।
সুরিনদ্র রাজাবাত বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামকে রূপান্তর করা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে। প্রায় ৩ হাজার মানুষ সেখানে অবস্থান করছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী থিদারাত হমহুয়ান, যিনি পরিবারসহ পালিয়ে এসেছেন।
“আমাদের গবাদি পশু, ঘরবাড়ি, ফসল—সবকিছুই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু অন্তত এখন আমরা নিরাপদে আছি,” বলছিলেন তিনি।
তিনি জানান, এক স্কুলে বাচ্চাদের দেখাশোনা করার সময় হঠাৎ মেশিনগানের মতো শব্দ আর গোলার বিস্ফোরণ শোনেন। “বাচ্চারা ভয় পেয়ে যায়। দ্রুত তাদের বাঙ্কারে নিয়ে যাই,” বলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা চাই সামোরাফুম বলেন, “অনেকেই ওষুধ বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে পারেননি। আমাদের মেডিকেল টিম মানসিক সেবা ও চিকিৎসা দিচ্ছে।”
থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একজন সেনা সদস্য ও ১৩ জন সাধারণ মানুষ। এক ক্যম্বোডিয়ান নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ক্যম্বোডিয়ার প্রায় ২০ হাজার মানুষও সীমান্ত ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘খমের টাইমস’। সূত্রঃ আলজাজিরা