Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় প্রায়শই প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়, যা রোগীর পরিবার এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কেন এত রক্তের প্রয়োজন হয়, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল রয়েছে।
আগুনে পোড়ার ফলে ত্বকের নিচের রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সেগুলো থেকে রক্তরস (প্লাজমা) ও তরল পদার্থ বেরিয়ে আসে। এই তরল ক্ষয় শরীরে রক্তের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমিয়ে দেয়, যা হাইপোভলেমিয়া নামক এক বিপজ্জনক পরিস্থিতির জন্ম দেয়। এ অবস্থায় রোগীকে বাঁচাতে স্যালাইন, রক্ত এবং প্লাজমা দিতে হয়।
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে লোহিত রক্তকণিকাও (RBC) ধ্বংস হয়, যা অক্সিজেন পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নতুন রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
এছাড়া আগুনে পোড়ার পর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। পোড়া টিস্যু নষ্ট হয়ে গেলে তা অপসারণে অস্ত্রোপচার করতে হয়, যা বাড়ায় রক্তক্ষয়। আবার, ঘন ঘন ড্রেসিং পরিবর্তনেও রক্তপাত ঘটে।
এইসব কারণেই আগুনে পোড়া রোগীদের জন্য প্রচুর রক্তের প্রয়োজন হয়। চিকিৎসকেরা রোগীর পোড়ার পরিমাণ, বয়স ও শারীরিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে রক্তের পরিমাণ নির্ধারণ করেন।
সুস্থ মানুষের রক্তদানই পারে এসব রোগীর জীবন বাঁচাতে। তাই আগুনে পোড়া রোগীদের পাশে দাঁড়াতে প্রয়োজন ব্যাপক সচেতনতা ও স্বেচ্ছায় রক্তদানে আগ্রহ।