Your Ads Here 100x100 |
---|
সাম্প্রতিক সময়ে চীনের উৎপাদন খাতে একটানা মন্দা দেখা যাচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষকদের মতামত অনুযায়ী, টানা দুই মাস ধরে দেশটির উৎপাদন খাত সংকোচনের সম্মুখীন হচ্ছে। বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং নীতিগত পরিবর্তনের কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের উৎপাদন হ্রাসের পেছনে কয়েকটি মূল কারণ রয়েছে
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের চাহিদা কমেছে।
রিয়েল এস্টেট সংকট এবং বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় চীনের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে।
কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে নেওয়া কড়া পরিবেশগত নীতিগুলোর ফলে কিছু শিল্প খাতে উৎপাদন সীমিত করা হয়েছে।
শ্রমবাজারে সংকট ও তরুণ জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব উৎপাদন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (NBS) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জানুয়ারি মাসে উৎপাদন সূচক ৪৭.২-এ নেমে এসেছে, যা টানা দুই মাস ধরে ৫০-এর নিচে রয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে উৎপাদন খাতে সংকোচন ঘটছে।
চীনের উৎপাদন খাতে এই সংকট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, ইলেকট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও টেক্সটাইল শিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সরকার যদি অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ গ্রহণ করে, তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
চীনের উৎপাদন খাতের চলমান সংকট দেশটির অর্থনীতির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারকেও প্রভাবিত করতে পারে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে সরকারকে নতুন নীতিগত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধারের জন্য কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।