Your Ads Here 100x100 |
---|
বগুড়া প্রতিনিধি:
বর্ষা মানেই একদিকে স্বস্তির বৃষ্টি, অন্যদিকে ভোগান্তির ভেজা পথ। আষাঢ়-শ্রাবণের এই সময়ে ছাতার ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাতা কারিগররা। বিশেষ করে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার, ছাতিয়ানগ্রাম, নশরতপুর ও সদরের বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে ছাতা মেরামতের হিড়িক।
রাস্তার পাশে বা দোকানের বারান্দায় অস্থায়ীভাবে বসে ছাতা মেরামতের কাজ করছেন কারিগররা। পুরনো ছাতায় নতুন প্রাণ ফেরানোই তাঁদের পেশা। তবে ছাতা মেরামতের সরঞ্জামের দাম বাড়ায় কিছুটা বেশি টাকা নিচ্ছেন—এ নিয়ে অভিযোগও রয়েছে সাধারণ মানুষের।
সদরের আয়েশা সিদ্দিকা মার্কেটের গলিতে বসে কাজ করছেন ষাটোর্ধ্ব তোজাম্মেল হোসেন। নশরৎপুরের পুশিন্দা গ্রামের এই বৃদ্ধ জানান, “বয়স হয়েছে, চোখে ভালো দেখিনা। তবুও ছাতা মেরামত করে সংসার চালাতে হয়।” তিনি আরও বলেন, “বর্ষার সময় কাজ বেশি হয়। প্রতিদিন ১৫-২০টি ছাতা মেরামত করি। পুরনো মডেলের ছাতা সহজ, কিন্তু নতুনগুলো একটু জটিল।”
অন্যদিকে চকসোনা গ্রামের গৃহিণী কহিনুর আক্তার বলেন, “ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়ার সময় ভিজে যায়। তাই পুরনো ছাতা মেরামত করাচ্ছি।”
ছাতা হারানো বা নষ্ট হওয়া এই মৌসুমে খুব সাধারণ ঘটনা। ফলে ছাতা কারিগরদের আয় বাড়লেও চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জাম ও কারিগর কম থাকায় অনেককে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।