Your Ads Here 100x100 |
---|
সংসারে অভাব-অনটন। মেয়ের ভবিষ্যৎ গড়তে স্বামীকে কিডনি বিক্রি করতে বলেছিলেন স্ত্রী। স্ত্রীকে ভালোবাসতেন, সংসারের জন্য সবকিছু করতে রাজি ছিলেন—তাই দেরি না করে কিডনি বিক্রি করলেন স্বামী। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা এতটা নির্মম হবে, তা কি জানতেন পিন্টু বেজ?
কিডনি বিক্রির ১০ লাখ টাকা হাতে আসতেই স্ত্রী সুপর্ণা উধাও! আর ফিরলেন না, খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল—তিনি প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। শুধু টাকা নয়, সঙ্গে নিয়ে গেছেন সোনার গহনাও!
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনা এখন চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। প্রতারিত স্বামী পিন্টু প্রথমে থানায় অভিযোগ করেন, এরপর স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার আশায় আদালতে যান।
স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ায় হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেছিলেন পিন্টু। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, সুপর্ণা স্বেচ্ছায় চলে গেছেন এবং নতুন সঙ্গীর সঙ্গে ‘স্বামী-স্ত্রীর মতো’ জীবনযাপন করছেন। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেউ তাকে জোর করেনি, বরং নিজের ইচ্ছাতেই সংসার ছেড়েছেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি খারিজ করে দেয়। আদালতের রায়ে বলা হয়, যেহেতু সুপর্ণা স্বেচ্ছায় চলে গেছেন এবং ফিরে আসতে চান না, তাই এ ক্ষেত্রে হেবিয়াস কর্পাস প্রযোজ্য নয়।
এদিকে প্রতারিত পিন্টুর কপালে এখন দুঃখের ছাপ। স্ত্রীর কথায় নিজের শরীরের একটি অংশ বিসর্জন দিয়েছেন, কিন্তু পুরস্কার হিসেবে পেলেন ধোঁকা! এখন তিনি জানেন না, কীভাবে সামলাবেন মেয়ের ভবিষ্যৎ।
এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে—সংসারের নামে আত্মত্যাগ করেও কি সব স্বামী পায় প্রতিদান? নাকি ভালোবাসার আড়ালে লুকিয়ে থাকে নির্মম বিশ্বাসঘাতকতার ছুরি?
সূত্র: আনন্দবাজার