27.2 C
Dhaka
রবিবার, জুলাই ২৭, ২০২৫

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সাময়িক অনুমতির ১২ শর্ত

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্কঃ

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে গেলে সরকারের ১২ শর্ত পূরণ করতে হয়। শুরুতে মেলে সাময়িক অনুমতি। এরপর সাত বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করার বিধান রয়েছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সাময়িক অনুমতি পাওয়ার মূল শর্তের মধ্যে রয়েছে–
১. বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার উদ্দেশ্যে অনূর্ধ্ব ২১ এবং অন্তত ৯ সদস্যের একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে।
২. সাময়িক অনুমতির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে তার শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদিত হতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য কমিশন নির্ধারিত পূর্ণকালীন শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৪. প্রারম্ভিক অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত তিনটি অনুষদ এবং ওই অনুষদের অধীন অন্তত ছয়টি বিভাগ থাকতে হবে।
৫. প্রতিটি অনুষদের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদিত প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবনে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, ছাত্রছাত্রীদের আলাদা কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে।
৭. বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য অন্তত পাঁচ কোটি টাকা, অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য অন্তত তিন কোটি এবং অন্যান্য এলাকার জন্য এক কোটি ৫০ লাখ টাকা যে কোনো তপশিলি ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।
৮. প্রারম্ভিকভাবে প্রস্তাবিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবনে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা যাবে। তবে অস্থায়ীভাবে স্থাপনের তারিখ থেকে সাত বছরের মধ্যে সরকার অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এক একর এবং অন্যান্য এলাকার জন্য অন্তত দুই একর নিষ্কণ্টক, অখণ্ড ও দায়মুক্ত জমিতে পর্যান্ত অবকাঠামো নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে নিজস্ব ক্যাম্পাস স্থাপন করতে হবে।
৯. প্রতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া পূর্ণকালীন শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম ৩ শতাংশ আসন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, ৩ শতাংশ আসন প্রত্যন্ত অনুন্নত অঞ্চলের মেধাবী দরিদ্র শিক্ষার্থীর ভর্তির জন্য সংরক্ষণ করে তাদের সব সবধরনের ফি ছাড়াই অধ্যয়নের সুযোগ দিতে হবে। প্রতি শিক্ষাবছরে এসব শিক্ষার্থীর তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে দিতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের নিমিত্তে একটি শিক্ষার্থী ফি কাঠামো প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানাতে হবে।
১১. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য উপযুক্ত বেতন কাঠামো ও চাকরি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে জানাতে হবে।
১২. বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাধারণ তহবিল থাকবে। ওই তহবিলে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে সংগৃহীত বেতন, ফি ও অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া অর্থ জমা করে সেখান থেকে খরচ করবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সান্তাহারে ট্রেনে কাটা পড়ে নৌবাহিনীর মেরিন ইঞ্জিনিয়ার নিহত

বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে অসতর্কভাবে রেলগেট পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নাছিম মাহমুদ জয় (৩২) নামের এক মেরিন...