Your Ads Here 100x100 |
---|
বিনোদন ডেস্কঃ
ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রথম অ্যাকশন জনপ্রিয় নায়ক জসীম। ১৯৯৮ সালের ৮ অক্টোবর মাত্র ৪৮ বছর বয়সে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে হঠাৎই মারা যান তিনি। বাবার মত মতই হঠাৎ করেই চলে গেলেন ছেলে এ কে রাতুল।
আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন তরুণ এই ব্যান্ডশিল্পী। তার মৃত্যুর খবরটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম।
কিছুদিন আগে নায়ক জসীমের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ফাইট ডিরেক্টর আতিকুর রহমান চুন্নু বলেন, ‘জসীম ভাই অনেক সকালে ঘুম থেকে উঠতেন। ৮ অক্টোবর সকালে সেভ করে ড্রইং রুমে বসে ছিলেন। বাসায় বড় লুঙ্গি পড়ার অভ্যাস ছিলো তার। ড্রইং রুমে কিছু একটা নিতে গেলে লুঙ্গি সোফার সঙ্গে আটকে তিনি পড়ে যান। তখন ভাবি (জসীমের স্ত্রী) এসে দেখেন জসীম ভাইয়ের মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উত্তরার একটি ক্লিনিকে নেওয়া হয়, সেখান থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্হী হাসাপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
২৭ বছর পর বাবার মতই হঠাৎই চলে গেলেন ছেলে রাতুল। রোববার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উত্তরার একটি জিমে ব্যায়াম করার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাৎক্ষণিক তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে নেওয়া হয়। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ফেরানো যায়নি। হাসপাতাল থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মরদেহ বাসায় নেওয়া হয়েছে।
‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট ছিলেন রাতুল। শ্রোতাদের মধ্যে ওন্ড ব্যান্ডের আলাদা পরিচিতি রয়েছে। ২০১৪ সালে ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ প্রকাশিত হয়েছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে ইপি ‘এইটটিন’।
রাতুল অন্য ব্যান্ডেও কাজ করেন। তিনি অর্থহীনের ফিনিক্সের ডায়েরি-১–এর সাউন্ডের কাজ করেছেন। রাতুল প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের মেজ ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে এ কে রাতুলও সংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত, তিনি ‘ট্রেনরেক’ ও ‘পরাহো’ ব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন। আরেক ভাই এ কে সামী একজন ড্রামার।
তুলের মৃত্যুতে সংগীতশিল্পীরা শোক জানিয়েছেন। সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হঠাৎ রাতুলের মৃত্যুসংবাদ শুনে আমি স্তব্ধ ও গভীরভাবে শোকাহত। তিনি দেশের অন্যতম সেরা শব্দ প্রকৌশলী ও ওন্ড ব্যান্ডের শক্তিশালী কণ্ঠস্বর ছিলেন। আমাদের সংগীতাঙ্গন থেকে একটি আলো হারিয়ে গেলে। তাঁর পরিবার, বন্ধুদের জন্য প্রার্থনা রইল।’
সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুয যাহরা ঐশী লিখেছেন, “ওন্ড’ এর গান আর শুনতে পারবো না! রাতুল আমার দেখা সবচেয়ে বিনয়ী সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। আমি বিশ্বাসই করতে পাচ্ছি না তিনি আরও নেই। জীবন এত ছোট এবং অপ্রত্যাশিত। শান্তিতে বিশ্রাম নিন রাতুল।”
শোক প্রকাশ করে গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন লিখেছেন, “চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে, ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট, ড্রামার, বেজিস্ট, সংগীত পরিচালক ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার এ কে রাতুল মারা গেছেন। মৃত্যুটা খুবই মর্মান্তিক! রাতুলের বাবা জসীম অল্প হায়াৎ পেয়েছিলেন। রাতুল পেলেন তারচেয়েও অনেক কম। আহা! ওপারে শান্তিতে থাকুন হে গান মানুষ।”