Your Ads Here 100x100 |
---|
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে নতুন করে ১০০ কোটি ডলারের সমমূল্যের বোমা ও অন্যান্য সামরিক উপকরণ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট এই তথ্য জানিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এর সোমবারের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসে উপস্থাপন করা হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতিনিধিরা দ্রুত প্রস্তাব অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন।
অনেকে আশঙ্কা করছেন যে এই অস্ত্র চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। অতীতে ইসরায়েলের সামরিক কার্যক্রমে অসামরিক জনগণের উপর এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের নজির রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই চুক্তি ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে এবং অঞ্চলটিতে মানবিক সংকট সৃষ্টি করছে ।
এই চুক্তির আওতায় ইসরায়েল পাবে ৪,৭০০টি এক হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা, যার মোট মূল্য ৭০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। পাশাপাশি, ক্যাটারপিলার নির্মিত অস্ত্রসজ্জিত বুলডোজারও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মূল্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের প্রগতিশীল সদস্যরা এই উদ্যোগের সমালোচনা করতে পারেন। কারণ, অতীতে ইসরায়েল এই ধরনের বুলডোজার ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ধ্বংসের কাজে ব্যবহার করেছে।
এর আগে বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলের কাছে দুই হাজার পাউন্ড ওজনের বোমা বিক্রির একটি প্রস্তাব স্থগিত করেছিল। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন এবং নিশ্চিত করেন যে ভবিষ্যতে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহে কোনো বাধা থাকবে না।
গত সপ্তাহে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প বলেন, “তারা এর জন্য অর্থ পরিশোধ করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে।”
এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। আজ ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় চুক্তি নিয়ে আলোচনা হবে।
নেতানিয়াহু ও অন্যান্য ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ট্রাম্পের কাছে আরও ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার অনুরোধ জানাতে পারেন। এই অস্ত্রের মধ্যে কামানের গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এক কংগ্রেস কর্মকর্তার মতে, বাইডেন প্রশাসন এই অস্ত্র বিক্রি স্থগিত রাখার চেষ্টা করেছিল, তবে ট্রাম্প প্রশাসন চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে প্রস্তুত।