27.2 C
Dhaka
শনিবার, আগস্ট ২, ২০২৫

সন্ধ্যা হলেই অন্ধকারে চলে যায় ক্যাম্পাস, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

কুবি সংবাদদাতা :
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা নেই। রাত নামলেই অন্ধকারে ঢেকে যায় ক্যাম্পাস। এর ফলে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্ত্বর, ওয়াকওয়ে, শহীদ মিনারের কিছু জায়গায়, ছাত্রাবাস এবং একাডেমিক ভবনের আশেপাশে অধিকাংশ জায়গায় কোনো ল্যাম্পপোস্ট নেই। আর যেসব স্থানে ল্যাম্পপোস্ট আছে, তার বেশিরভাগই নষ্ট বা অকার্যকর। ফলে অন্ধকারেই চলাচল করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, তাদের জন্য এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। অন্ধকারের সুযোগে চুরি, হয়রানি বা দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও অন্ধকার পরিবেশের সুযোগ নিয়ে মাদকের আড্ডা বসে বিভিন্ন জায়গায়।
লোক প্রশাসন বিভাগের ১৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থী কাউসার আহমেদ বলেন,  “যারা এসব রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছেন, তারা যদি একবার রাতের কুবি ক্যাম্পাসে হেঁটে দেখতেন, তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতেন কতটা ভয় ও অনিরাপত্তা নিয়ে আমরা চলাফেরা করি।”
ক্যাম্পাসভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সোচ্চার স্টুডেন্ট’স নেটওয়ার্ক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়’-এর সভাপতি মো. নাইমুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু স্থানে পর্যাপ্ত আলোর অভাব রয়েছে, ফলে সন্ধ্যার পর এসব জায়গা অন্ধকারে ডুবে যায়। এতে মাদক সেবনসহ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয় এবং কখনো কখনো বহিরাগতদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়, যা শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের জন্ম দেয়। আমরা বিশ্বাস করি, একটি নিরাপদ ও সহনশীল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এসব বিষয় গুরুত্বসহকারে দেখা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমাদের আন্তরিক আহ্বান—যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে নষ্ট বাতিগুলো মেরামত করা হয় এবং প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও চলাচলের পথসমূহে যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আব্দুল হাকিম বলেন’ “এটা প্রক্টোরিয়াল বডির কাজ না, এটা ইন্জিনিয়ার বা আইসিটি সেলের কাজ, আপনি আগে তাদের সাথে কথা বলুন। এর আগে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারিনা।
এস এম ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল হাসান বলেন, এটাতো আমরা বলতে পারব না, তবে আমাদেরকে নিরাপত্তা অধিদপ্তর যখন কোন অভিযোগ দেয় তখন আমরা সেটা পরিবর্তন করার পদক্ষেপ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইটিংয়ের সমস্যা হয় সেটা আমাদেরকে নিরাপত্তা অধিদপ্তর অভিযোগ করলে আমরা তা পরিবর্তন করে দেই। নিরাপত্তা অধিদপ্তরে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আগে নষ্ট লাইট গুলো পরিবর্তন করেছি। তারা যদি আমাদেরকে আবার অভিযোগ করে আমরা তা পুনরায় করবো।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কি ইট লাগাইছে, শহিদদের কবরের ওপর এভাবে দুর্নীতি করছেন?

খবরের দেশ ডেস্ক : কি ইট লাগাইছে, শহিদদের কবরের ওপর এভাবে দুর্নীতি করছেন?  জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ রায়েরবাজার গণকবরের লাশগুলো ডিএনএ টেস্টের...