Your Ads Here 100x100 |
---|
ভোলা প্রতিনিধি,
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ভূয়া নামজারি ও দাখিলা তৈরী করে দাতা, গ্রহীতার জমির দলিল রেজিস্ট্রি করার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে,চক্রের প্রধান সদস্য বোরহানউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক মোঃ বাবুল।
সূত্রে জানাগেছে, এসব অপকর্ম কারণে সে কিছুদিন পূর্বে জেল খেটেছে এক মাস এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে দুইটি মামলা চলমান রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সম্প্রতি গত ২৪/০৭/২৫ইং তারিখে একটি ভুয়া নামজারি ও দাখিলা দিয়ে দেউলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দাতা-নাহিদুল ইসলাম গংদের থেকে ২০ হাজার টাকা ও দেউলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রহীতা হাফিজ মৃধার কাছথেকে সারে ৪২ হাজার টাকা নিয়ে বোরহানউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলামকে দিয়ে একটি ভূয়া দলিল রেজিস্ট্রি করে দেয় এ আলোচিত প্রতারক বাবুল। দলিল নং-২৮৪৫।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন সাব-রেজিস্ট্রার মোঃ রফিকুল ইসলাম দায়সারা বক্তব্যে সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে জানায়, দৈনিক সে অনেকগুলো জমির রেজিস্ট্রি করতে হয়। সব কিছু খতিয়ে দেখার সময় তার হয়না এবং সে দলিল লেখকদের অনেক বিশ্বাস করেণ।
এ ব্যাপারে দাতা নাহিদুল ইসলাম গংরা জানায়, তারা জমি বিক্রির জন্য দলিল লেখক বাবুলকে নামজারি ও খাজনা দাখিলার কোন কাগজ দেয়নি। বাবুল কোথা থেকে এ ভূয়া নামজারি ও দাখিলা পেয়েছে তা তারা জানেনা। তবে বাবুল তাদের থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে।
এ ব্যাপারে গ্রহীতা হাফেজ মৃধা জানান, আমি দলিল লেখক বাবুলকে বিশ্বাস করেছিলাম এবং সে আমার থেকে সারে ৪২ হাজার টাকা নিয়েছে। সে যে আমার সাথে এত বড় বিশ্বাস ঘাতকতা করবে তা আমার জানাছিলো না।
এ ব্যাপারে দেউলা ভূমি অফিসের তহশিলদার বজলুর রহমান দায়সারা বক্তব্যে বলেন, সে তার অফিস থেকে এ নামজারি ও খাজনার দাখিলা জমির দাতাকে প্রদান করেননি এবং তার অফিসে ভূমি মন্ত্রনালয়ের কম্পিউটারে এ নামজারি ও দাখিলার কোন প্রমান সংরক্ষিত নাই।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ও জেলা সাব-রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মোঃ নুর নেওয়াজ জানান, বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখবেন এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওই এলাকার সচেত মহল জানান, দলিল লেখক বাবুল ইউনিয়ন তহশিলদার ও সাব-রেজিস্ট্রারের জোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবৎ এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বাবুল ভূয়া নামজারি ও দাখিলা তৈরী চক্রের একজন অন্যতম সদস্য। একটি দলিল রেজিস্ট্রিতে যদি নামজারি ও দাখিলা ভূয়া থাকে তবে ওই জমিটি গ্রহীতা স্থায়ী ভাবে কোন দিনও ভোগ করতে পাবে না। একটা সময় এ জমির সমস্যা দেখা দিবেই। দলিল লেখক বাবুল মোটা অংকের টাকার লোভে দীর্ঘ দিন যাবৎ এ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। বাবুলের প্রতারণার জালে আটকা পরে এ পর্যন্ত সর্বশান্ত হয়েছে বোরহানউদ্দিনের অনেক মানুষ। প্রতারণার দায়ে সে কিছু দিন আগে জেল খেটে বের হয়েছে। বর্তমানেও তার বিরুদ্ধে ২টি প্রতারণা মামলা চলমান রয়েছে। বাবুল দলিল লেখক সমিতির প্রভাবশালী নেতা, সাব-রেজিস্ট্রার ও তহশিলদারদের মতো কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবৎ বীরদর্পে এ অপ-কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে ।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত দলিল লেখক বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হালে সে জানায়, দাতা ও গ্রহীতা আমাকে যে নামজারি ও দাখিলা দিয়েছে এর ভিত্তিতে আমি দলিল রেজিস্ট্রি করে দিয়েছি। তবে এ জমির দাদা ও গ্রহীতারা জনান, আমারা তাকে কোন নামজারি ও দাখিলা দেইনি। দিয়েছি শুধু টাকা।