- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
মেয়ের বিয়ে। সবাই চার্চে যাচ্ছেন। পথে আইনস্টাইন মেয়েকে বললেন,”তুমি আগে যাও, আমি ল্যাব থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি।”
বিয়ে হয়ে গেল। মেয়ে হানিমুনেও গেল।
৭ দিন পর ফিরে এসে মাকে জিজ্ঞেস করল,
“বাবা কোথায়?”
মা বললেন,
“ওই যে, বলেছিল ১০ মিনিটে ফিরবে… আর ফেরেনি!”
মেয়ে দৌঁড়ে গেল বাবার ল্যাবে।
দেখে বাবা তখনো গবেষণায় মগ্ন।
ডেকে বলল,
“বাবা! এখনো এসোনি?”
আইনস্টাইন বললেন,
“তুমি চার্চে যাও, আমি ১০ মিনিটেই আসছি!”
এমনই গভীর ছিল তাঁর ধ্যান আর কাজের প্রতি একাগ্রতা।
১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে একবার তাঁকে প্রশ্ন করা হয়:
“গবেষণার জন্য কী কী লাগে?”
আইনস্টাইন হেসে বললেন –
“একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ, একটা পেনসিল… আর একটা বড় ডাস্টবিন! যাতে সব ভুলভরা কাগজ ফেলতে পারি!”
একবার বেলজিয়ামের রানি তাঁকে রাজপ্রাসাদে দাওয়াত দিলেন।
স্টেশনে গাড়ির বহর গেল তাঁকে আনতে…
কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না বিজ্ঞানীকে।
কিছুক্ষণ পর দেখা গেল—
সাদামাটা পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে রাজপ্রাসাদে হাজির!
রানি বিস্মিত! বললেন,
“গাড়ি তো গিয়েছিল আপনাকে আনতে!”
আইনস্টাইন উত্তর দিলেন,
“ইচ্ছা করেই গাড়ি এড়িয়ে হেঁটে এসেছি… শহরটাকে সাধারণ মানুষের চোখে দেখলাম, আর বেহালাও বাজাতে পারলাম। গাড়িতে এসব সম্ভব হত না।”
তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার —
যে “আপেক্ষিকতা তত্ত্ব” (Theory of Relativity) তাঁকে সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত করেছে,
তার জন্য নোবেল পাননি!
কারণ?
ততদিনে পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকজন বিজ্ঞানীই শুধু এই তত্ত্ব বুঝতেন।
সুইডিশ নোবেল বোর্ডও বোধহয় ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি।
তবে ১৯২১ সালে তিনি পেলেন পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার —
“আলোক তড়িৎ ক্রিয়া” (Photoelectric Effect) ব্যাখ্যার জন্য।
আইনস্টাইন শুধু একজন বিজ্ঞানী নন, তিনি ছিলেন চিন্তার এক বিপ্লব।
সরলতা আর প্রতিভার এক দুর্লভ সংমিশ্রণ!
পোস্ট ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দেবেন
পেজটি প্রথম দেখে থাকলে একটা ফলো দিয়ে সঙ্গে
