Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের তালিকা থেকে আটজনের নাম বাদ দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চারজনের নাম সরকারি গেজেটে দুইবার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাকি চারজন সরাসরি আন্দোলনে সম্পৃক্ত নন– কেউ ছিলেন পুলিশ সদস্য, কেউ জেল পালাতক, কেউ পারিবারিক দ্বন্দ্বে নিহত, আবার কেউ আন্দোলনের সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
গতকাল রোববার রাতে মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। গেজেটে দুবার অন্তর্ভুক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন– ভোলার শাহজাহান (গেজেট নম্বর ৬১১), শরীয়তপুরের বাঁধন (গেজেট নম্বর ৮৩৬), ঢাকার রামপুরার মুসলেহ উদ্দিন (গেজেট নম্বর ২২৪) এবং সাভারের মো. রনি (গেজেট নম্বর ৭৬৬)।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাদ দেওয়া বাকি চারজনের মধ্যে খলিলুর রহমান (গেজেট নম্বর ২২৯) পুলিশ সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলে। জিন্নাহ মিয়া (গেজেট নম্বর ৩৭৫) ছিলেন জেল পলাতক আসামি। তাঁর বাড়ি নরসিংদী। পটুয়াখালীর বাসিন্দা বশির সরদার (গেজেট নম্বর ৮২৩) আন্দোলনের সময় অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। নারায়ণগঞ্জের তাওহিদুল আলম জিসান (গেজেট নম্বর ৮১৮) পারিবারিক বিরোধে নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় বর্তমানে আদালতে মামলা চলমান।
মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল তালিকা তৈরি করতে চাই। প্রথম দিকের তালিকায় কিছু ভুল ছিল, এখন তা সংশোধন করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় আরও কিছু নাম নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে।’
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২ আগস্ট পর্যন্ত গেজেটভুক্ত শহীদের সংখ্যা ছিল ৮৪৪। আটজন বাদ দেওয়ার পর সংশোধিত তালিকায় বর্তমানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৬।
তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ব্যক্তিদের পরিবার ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বলছে, প্রকৃত শহীদের সম্মান অক্ষুণ্ন রাখতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।