এভাবে পাওয়া সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করেন ব্রুক। এরপর রীতিমতো টি২০ খেলতে শুরু করেন। ২টি ছয় ও ৪টি চারে ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন। আর সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান ৯১ বলে। ১১১ রান করে তিনি যখন আকাশদীপের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরছেন, তখন স্বস্তি ফিরেছে স্বাগতিক শিবিরে। চতুর্থ উইকেটে ব্রুক-রুটের ১৯৫ রানের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। আলাদা করে বলতে হবে রুটের কথাও। ব্রুক যখন মারমুখী ব্যাটিং করছিলেন, অভিজ্ঞতার ঋদ্ধ এ ব্যাটার তখন দেখেশুনে খেলতে থাকেন। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেন ৮১ বলে। ব্রুক আউট হওয়ার পর দায়িত্ব কাঁধে নেন রুট। এর মধ্যে তরুণ ব্যাটার জ্যাকব বেথেল পরিস্থিতির চাপে বোল্ড হয়ে যান। ৩৯তম সেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যান রুট। তিনি আউট হতেই ভারতীয়রা ঘিরে ধরে স্বাগতিকদের। তবে আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধের সময় স্মিথ ও ওভারটন আর কোনো উইকেট দেননি।
দিনের শুরুতে অবশ্য ভারতের দাপট ছিল। আগের দিনের অপরাজিত বেন ডাকেটের সঙ্গে যোগ দিয়ে ওলি পোপ প্রথম আধঘণ্টা উইকেট দেননি। তবে ভারতের পেসার সিরাজ ও আকাশদীপ তাদের স্বচ্ছন্দে রান করতে দেননি। প্রসিধ কৃষ্ণা বোলিংয়ে আসার পরই তাঁকে মারতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন হাফ সেঞ্চুরি করা ডাকেট। এরপর সিরাজের বলে ওলি পোপ এলবির ফাঁদে পড়লে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন ভারতীয়রা। কিন্তু হ্যারি ব্রুক মারমুখী ব্যাটিংয়ে সব উলটপালট করে দেন।