27.7 C
Dhaka
সোমবার, আগস্ট ৪, ২০২৫

গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের মরদেহ উদ্ধার

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্কঃ

চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের একটি কক্ষ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশীদ বীর প্রতীকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর কারণ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানা যায়নি।

আজ (৪ আগস্ট) সোমবার সকালে মামলার শুনানির সময় উপস্থিত না হওয়ায় এবং তার ফোনে যোগাযোগ না পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। পরে গেস্ট হাউজের কর্মীরা পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করে তাকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে সিএমএইচ থেকে চিকিৎসক দল এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

৭৭ বছর বয়সী এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং ডেসটিনি গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি। জানা গেছে, ডেসটিনি গ্রুপের একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে তিনি রোববার বিকেলে চট্টগ্রামে আসেন এবং চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউজের ৩০৮ নম্বর কক্ষে ওঠেন।

১৯৪৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ধলই ইউনিয়নে জন্ম নেওয়া হারুন-অর-রশীদ পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার জন্য তিনি ‘বীর প্রতীক’ খেতাব লাভ করেন।

২০০০ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। অবসরের পর তাকে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ফিজিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। হারুন-অর-রশীদ ২০০৬ সালে ডেসটিনি গ্রুপে যুক্ত হন এবং এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।

তবে ডেসটিনির বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২০১২ সালে তাকে কারাগারে যেতে হয়। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০২২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় অর্থ আত্মসাতের দায়ে আদালত তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। সাবেক সেনাশাসক এইচ এম এরশাদের পর তিনিই প্রথম সাবেক সেনাপ্রধান যিনি আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান।

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

“মেয়েকে নিয়ে বাণিজ্য চলবে না: পরীমণি”

বিনোদন ডেস্কঃ গেল বছর একটি কন্যাশিশু দত্তক নিয়েচেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মায়ের আদর দিয়েই তাকে বড় করে তুলছেন তিনি। এক ছেলে ও...