- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
বিনোদন ডেস্ক :
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সালের মাঝামাঝি কোনো এক দিনের কথা। জেমসের ব্যান্ড ফিংলিসের ‘জেল থেকে বলছি’ অ্যালবাম ততদিনে বের হয়েছে। ওমর শরীফ নামের একজন সাংবাদিক জেমসের ইন্টারভিউ নিলেন। জেমস সাধারণত সাক্ষাৎকারে খুব বেশি কথাবার্তা বলেন না। আবার এটাও বলা যায়, তাকে দিয়ে বোধহয় কথাবার্তা বলানো যায়না কিংবা তাঁর স্মৃতি ও মনকে উস্কে দেওয়া যায় না।
যাইহোক, সেদিনও তিনি সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গের বাইরে যাননি।
প্রথমেই ওমর শরীফ জেমসকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন কয়েকদিন আগের শেরাটনের ব্লাড এইড কনসার্টের ঘটনা। সেদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাতাল অবস্থায় জেমস বলেছিলেন, ‘আমাকে আজ ক্ষমা করে দে। তোদের ক্ষমা আমি বাকি জীবন মনে রাখবো।’
তারপর আর নাকি গান করেননি।
রাখঢাক না রেখে রকস্টার (তখন অবশ্য রকস্টার হননি) জেমসের উত্তর দিয়েছিলেন,
‘হ্যাঁ, বলেছি। আমি তখন মাতাল ছিলাম। গানও গেয়েছি এক লাইন। দর্শকরা মিউজিকের তালে তালে বাকি লাইনগুলো গেয়েছে। এটাই তো কনসার্টের নিয়ম। দর্শকদের সঙ্গে কমিউনিকেট করেই তো লাইভ পারফরমেন্স হয়।’
এরপর কথা গড়িয়ে গেল অন্যদিকে। জেমসকে প্রশ্ন করা হলো,‘জেল থেকে বলছি’ অ্যালবামের পর হঠাৎ করেই তো গান বদলে গেল। গানগুলো অন্যরকম হচ্ছে। এর পেছনে কারণ কী?
জেমসে জানিয়েছিলেন, এর কোনো কারণ নেই। একটা সময় পর্যন্ত এক ধাঁচের গান করতেন। তারপর আরেক সময়ে আরেক রকম গান করা শুরু করলেন। তবে দুটো সময়ই তাঁর জন্য এক, কারণ দুটোতেই তিনি, মানে জেমস।
এরপর জেমসের কাছে ব্যাখা চাওয়া হলো, তিনি এখন যে গান করছেন, সেটা কোন ধারার?
জেমসের উত্তর ছিল, এগুলো কোন ধারার গান সেটার কোনো ব্যাখ্যা নেই। কি ধারা তাও জানেন না। যা ভালো লেগেছে সেটাই করছেন।
আগেই বলেছি জেমসের লম্বা সাক্ষাৎকার পাওয়া যায় না। তো, এবারে সাংবাদিক শেষ প্রশ্ন করলেন তাঁর ব্যান্ড ফিলিংস নিয়ে। জিজ্ঞাসা করলেন, ফিলিংসের জনপ্রিয়তা কি কমে গেছে?
এইবারে জেমস যা উত্তর দিলেন সেটা খুব ইন্টারেস্টিং।
‘মনে হচ্ছে না। বেড়ে যাচ্ছে, আরো বেড়ে যাচ্ছে।’
সাক্ষাতকার এখানেই শেষ হয়েছিল।
‘মনে হচ্ছে না। বেড়ে যাচ্ছে, আরো বেড়ে যাচ্ছে’ নিয়ে কিছু কথা বলি।
এই ধরনের উত্তর জেমস এখনো দেন। এটা আসলে তাঁর স্বভাবের অংশ আর মিডিয়ায় কথা বলার পুরোনো ধরণ। তিনি সাধারণত বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যান না। বরং ছোট, স্পষ্ট আর জোরালোভাবে বলেন। যেমন, ‘এর কোনো ব্যাখ্যা নেই’, ‘কি ধারা জানি না’, বা ‘দুটি সময়ই আমি’। এটা শ্রোতাদের তাঁর প্রতি কৌতূহল ধরে রাখে।