ভাগ্যকে পাশে পেলেন না রিজান হোসেন। পেলে নিশ্চিতভাবেই আফসোসে পুড়তে না তিনি। যুব ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা যে পেলেন না রান আউটের কাটায় পড়ে।৪৮তম ওভারে তৃতীয় বলে রান আউট না হলে নিশ্চিতভাবেই তিন অঙ্কের দেখা পেতেন রিজান।
কেননা সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে ছিলেন তিনি। ব্যবধান ঘোচাতে যথেষ্ট বলও ছিল দারুণ খেলতে থাকা রিজানের সামনে। কিন্তু সব কিছু থাকার পরেও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
রিজান আফসোসে পুড়লেও তার ৯৫ রানের ইনিংসে ভর করেই ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যেই দিয়েছে বাংলাদেশের যুবারা।
নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে হারারেতে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান করেছে অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশের দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার (২১) ও রিফাত বেগ (১৬)। তবে ৩ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনার আউট হওয়াতে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ৪৪ রানে তারা বিদায়ের পর সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এসে দ্রুত ফেরেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিমও (৭)।
দলীয় ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পরে পথ দেখান কালাম সিদ্দিকী ও রিজান। দুজনে মিলে চতুর্থ উইকেটে ১১৭ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে আড়াই শর বেশি সংগ্রহ এনে দেন। কালাম ব্যক্তিগত ৬৫ রানে ফিরলে মোহাম্মদ আবদুল্লাহর সঙ্গে আরেকটা পঞ্চাশোর্ধ্ব জুটি গড়েন রিজান। পঞ্চম উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা।
শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া রিজান ৯৫ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১০ চারে।
পরে ইনিংসের শেষটা করেন আবদুল্লাহ ও সামিয়ুন বশির। আবদুল্লাহর ৩৮ রানের বিপরীতে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন বশির। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন বান্দিলে এমবাথা।