27 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে মাংসের বদলে ঝোল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৪

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে রাশিদুল ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন আহত হন, যাদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাশিদুল ইসলামের ছেলে রাফির সুন্নতে খতনা উপলক্ষে প্রায় ৩০০ জন স্বজন ও প্রতিবেশীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। খাওয়ানোর সময় খাবার পরিবেশনকারী রাফির মামা শহিদুল ইসলাম গেস্টদের খাবার পরিবেশন করছিলেন। একই টেবিলে বসা আকবরের স্ত্রী, দুই সন্তান শান্ত (২০) ও চান্নুসহ আটজন খাবার গ্রহণ করছিলেন।

খাবারের সময় চান্নু হোসেন মাংসের ঝোল বেশি থাকার অভিযোগ করেন এবং ভালো মাংস আনতে বলেন। শহিদুল কয়েকবার গামলা বদল করেও অভিযোগের সম্মুখীন হন। একপর্যায়ে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে শান্তর মাথায় আঘাত করা হলে তার মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- মাহফুজুর রহমান শান্ত (২০), চান্নু হোসেন (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৪৫) ও জামিরুল (১৯)। শান্ত বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সোহাগ শিকদার বলেন, ‘সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে মাংসের বদলে বারবার ঝোল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ হয়, যাতে ৪ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত দুপুরের পর অনুষ্ঠানে ভালো খাবার কম থাকে, এবং অতিরিক্ত ঝোলযুক্ত মাংস পরিবেশন করা হয়। এটি নিয়েই উত্তেজনা তৈরি হয় এবং সংঘর্ষ বাধে।

আহত চান্নু হোসেন বলেন, ‘আমরা শুধু ভালো মাংস চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের মারধর করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’ অন্যদিকে, রাফির মামা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গামলা বদল করলেও ওরা অভিযোগ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা আমাকে মারধর করে, জামা ছিঁড়ে ফেলে। সংঘর্ষের মধ্যে কে কাকে আঘাত করেছে, তা বলা মুশকিল।’

স্থানীয়দের মতে, এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানে খাবার বিতরণে যথাযথ পরিকল্পনা থাকা উচিত, যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়। অনেকেই মনে করেন, শুধুমাত্র খাবার সংক্রান্ত বিষয়ে এমন সংঘর্ষ দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সাধারণত বিকেলের দিকে ভালো খাবার কমে আসে, এবং অতিরিক্ত ঝোলযুক্ত মাংসই পরিবেশন করা হয়। কিন্তু এটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হওয়া মোটেও কাম্য নয়।’

এ বিষয়ে রাফির বাবা রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনুষ্ঠানটি আনন্দের হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন তা বিষাদে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই, সবাই ধৈর্য ধরুক এবং সহনশীল হোক।’

স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি, তবে ক্ষতিগ্রস্তরা আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আমির খানের নতুন প্রেমিকা কে?

তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এ...