Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে পুরো সংসদীয় আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ছাড়া বিনা ভোটে জয় ঠেকাতে একক প্রার্থীর বিপরীতে ‘না’ ভোটের বিধান চালু এবং ভোটের মাঠে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মতো ক্ষমতা দেওয়াসহ বেশকিছু বিষয়ে ক্ষমতা কমিশন ফিরে পেতে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে গতকাল সোমবার ইসির বৈঠকে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২’ সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে ইসি। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদনের পর অধ্যাদেশ জারির মধ্য দিয়ে সংশোধিত এ আইন কার্যকর হবে। ফলে সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে এ আইন প্রয়োগ করতে পারবে ইসি।
তবে ইসির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, এই খসড়া আগামী সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকারের সম্মতি পেলে তা সংশোধন অধ্যাদেশ নামে জারি হবে। সেই সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের কোনো সুপারিশ থাকলে তা পরে যুক্ত করা হবে। এ ছাড়া গতকালের বৈঠকে নতুন দল নিবন্ধনের আবেদন নিয়ে আলোচনা হয় এবং ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়। বাকি ১২১টি দলকে অযোগ্য বিবেচিত বলে ঘোষণা করা হয়।
ইসি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরপিওতে যেসব বিধান ফিরছে তার সবই ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ছিল। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে অনুষ্ঠিত দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন পর্যায়ে এসব বিধান বাদ পড়ে। এর মধ্যে হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ইসির হাতে থাকলেও আগের কমিশনগুলো এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এবারেও এ বিধান প্রয়োগে কারও অভিযোগের জন্য ইসি অপেক্ষা করবে, নাকি স্বপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নেবে– তা স্পষ্ট নয়। এর আগে এক বা একাধিক দল জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে অন্য দলের প্রতীকে ভোট করার সুযোগ পেত। এবার সে সুযোগ বন্ধ করার প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া প্রস্তাবে।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরপিওর খসড়া চূড়ান্ত করার পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ইসি সচিব আখতার আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরপিও থেকে বহুল আলোচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির ব্যবহারের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহার রোধে নতুন বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ আরও জানান, আরপিও চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ঐকমত্য কমিশনের সংস্কারের সুপারিশকে বিবেচনায় আনা হয়েছে। এদিন ইসির বৈঠকটি বেলা ১১টায় শুরু হয়ে দুদফা বিরতি দিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেষ হয়। পরে কমিশনের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন তিনি।
ফিরছে ‘না’ ভোট
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না’ ভোটের বিধান ছিল সব আসনে। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তা বাদ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩টি আসনের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এবারের ভোটে ‘না’ ভোটের বিধান চালুর প্রস্তাব ছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনেরও। তবে এবার সব আসনে ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। শুধু যেসব আসনে একজন প্রার্থী হবেন, সেখানেই এ বিধান চালু থাকবে।
এ বিষয়ে কমিশনার সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোথাও একজন প্রার্থী হন, সে ক্ষেত্রে বিনা ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন না। একজন প্রার্থী হলে তাঁকেও নির্বাচনে যেতে হবে। তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। সেখানে পুনরায় ভোটের আয়োজন করা হবে। এর পরেও ‘না’ ভোট জয়ী হলে তখন ওই প্রার্থী নির্বাচিত হবেন।
তিনি আরও জানান, কোনো আসনে দুজন প্রার্থী সমপরিমাণ ভোট পেলে লটারি করে ফল নির্ধারণের বিধানও বাতিল করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে পুনরায় নির্বাচন হবে। কেননা, সংসদ সদস্য পদে কারও লটারিতে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি কমিশন সঠিক বলে মনে করছে না।
আইনশৃঙ্খলায় যুক্ত সশস্ত্র বাহিনী, বাতিল ইভিএম
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় পরিবর্তন এনে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিএনসিসি ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে কমিশন অন্যান্য বাহিনীর মতোই সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলার কাজে ব্যবহার করতে পারবে।
নির্বাচন পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের বদলি তপশিল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত ইসির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে করতে হবে। এ ক্ষেত্রে রেঞ্জের ডিআইজিদেরও আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর ভোটে ইভিএম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এখন আরপিও থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। তাই যাবতীয় বিধান বিলোপ করা হয়েছে আরপিওর প্রস্তাবিত সংস্কারে।
পুরো আসনের ফল বাতিল করা যাবে
আগে অনিয়মের অভিযোগে ফল স্থগিত এবং বাতিল নিয়ে যে বিধানগুলো ছিল, যেখানে পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করা বা ফল বাতিলের ইসির ক্ষমতাকে সীমিত করা হয়েছিল। সেটা পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন অবস্থা বুঝে এক বা একাধিক কেন্দ্র বা পুরো আসনের ফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে।
ভোট গণনার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিত থাকা নিয়ে বলা হয়, ভোট-সংশ্লিষ্ট অন্যদের মতো গণমাধ্যমকর্মীরাও ভোট গণনার সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন। তবে গণনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা থাকতে চাইবেন, তাদের পুরোটা সময় থাকতে হবে। মাঝপথে বের হয়ে যাওয়া যাবে না। আরপিওতে সংশোধন এনে এমন বিধান যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
জোটবদ্ধ হলেও দলীয় প্রতীকে ভোট
সংসদ নির্বাচনে কোনো দল অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশ নিলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে নিজ দলের প্রতীকে। আরপিওর এমন সংশোধনীর কথা তুলে ধরে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, এটা সংস্কার কমিশনেরও প্রস্তাব ছিল। ইসি এখানে উৎসাহিত-নিরুৎসাহিত কিছু করছে না। এটা রাজনৈতিক স্বাধীনতা– কে এককভাবে কিংবা দলীয়ভাবে নির্বাচন করবে, নাকি জোটবদ্ধভাবে করবে।
তিনি বলেন, জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও রাজনৈতিক দলগুলো তার নিজের প্রতীক, যে রিজার্ভ প্রতীক আছে, সেটা দিয়ে নির্বাচন করবে। কোনো একটি প্রতীক দিয়ে নয়।
এ ছাড়া হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দিলে তদন্তে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে। নির্বাচিত হয়ে গেলেও রিকল্ড করে তাঁর সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে পারবে ইসি। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে এই ক্ষমতা প্রার্থীর নির্বাচিত মেয়াদ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর মেয়াদকালের পর কমিশনের এ বিষয়ে কোনো এখতিয়ার থাকবে না।
নিবন্ধন স্থগিতের বিধান সুস্পষ্ট করা হয়েছে
আরপিওতে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন স্থগিত প্রক্রিয়া ও বিধান সুস্পষ্ট করা হয়েছে। বিদ্যমান বিধানে কেবল কোনো দল নিষিদ্ধ হলে তার নিবন্ধন স্থগিত করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে কী হবে, সেটা সুস্পষ্ট ছিল না। এখন কোনো রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে কমিশন নিবন্ধন স্থগিত করার ক্ষমতা ব্যবহার করবে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিধান স্পষ্ট করে আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ইসি মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ বা অন্য কাউকে লক্ষ্য করে এ বিধান করা হয়নি। এ-সংক্রান্ত বিধান সুস্পষ্ট করা হয়েছে।
আরও যেসব বিধান
আরপিওতে নতুন করে যুক্ত হওয়া অন্যান্য বিধান প্রসঙ্গে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি সুস্পষ্ট করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসে তদন্ত কমিটি গঠন ও ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ইসিকে জানাতে হবে তিন দিনের মধ্যে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এসিআরে তাঁর শাস্তির বিষয়টি সংরক্ষিত থাকবে।
তিনি বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি যাতে আরপিওতেও প্রয়োগ করা যায়, এমন বিধান যুক্ত হয়েছে। এটা নানাভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রার্থীর ব্যয়সীমা আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে ইসি মনে করলে এর অডিট করতে পারবে। আগে অনুদানের ক্ষেত্রে ব্যক্তি পর্যায়ে ১০ লাখ ও রাজনৈতিক দল পর্যায়ে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার বিধান ছিল। এখন উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে অনুদান ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আয়কর রিটার্নে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, কোনো দলের নিবন্ধন নাকচ হলে সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হবে। আগে ইসির চিঠিতে সুনির্দিষ্ট কারণগুলোর উল্লেখ না থাকায় দলগুলো আদালতে গিয়ে নিবন্ধনের আদেশ নিয়ে আসতে পারত। এটা বন্ধ করতেই এখন থেকে সব কারণ উল্লেখ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া নিবন্ধনপ্রত্যাশী দলগুলোর জন্য গঠনতন্ত্র জমা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ৩০ দিন সময় দেওয়ার বিধান বহাল থাকছে। এ ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন থেকে ৯০ দিনের সুপারিশ করা হলেও ইসি সেটাকে বিবেচনায় আনেনি। কেননা, এতে অনেক সময় যাবে।
নির্বাচনে আচরণবিধি-সংক্রান্ত পরিবর্তনের বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় ডিজিটাল বিলবোর্ডের ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক আলো ব্যবহার করা যাবে, তবে কোনো আলোকসজ্জা করা যাবে না।
নির্বাচনী প্রচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার বিষয়ে এ কমিশনার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের মিথ্যাচার বা অপবাদ ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এআই শুধু আমাদের দেশের সমস্যা নয়, একটি বৈশ্বিক সমস্যা। কমিশন সামাজিক মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব রোধে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে, যেখানে ভালো তথ্যের মাধ্যমে খারাপ তথ্য দমন করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, এটার মাধ্যমে এই প্রবণতাকে ঠেকাতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা চাই না, আমাদের ব্যান্ডউইথ কমে যাক বা যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দিই বা কোনো প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করি। তাহলে আমাদের হাতে কী উপায় আছে? উপায় হচ্ছে বেসিক্যালি আমরা যে স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কাজ করছি।
এই নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনে নারীর প্রতি সম্মান ও সাইবার বুলিং প্রতিরোধের বিষয়টি আচরণবিধিতে যুক্ত করা হয়েছে। আরও কিছু ছোটখাটো সংশোধনী আনা হয়েছে আরপিওতে। একজন প্রার্থী কত আসনে ভোটে দাঁড়াতে পারবেন– এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইসি মনে করে, এটা একটা রাজনৈতিক ঐকমত্যের বিষয়। এখানে ইসির কোনো অবস্থান নেই। প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ে সংশোধনী আনতেও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।
সংসদীয় আসনের সীমানা বিন্যাসের খসড়ার ওপর আপত্তি বিষয়ে তিনি বলেন, ৮২টি আসন থেকে দাবি-আপত্তি পাওয়া গেছে। পরে এগুলো শুনানি করে নিষ্পত্তি করা হবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে পাস ২২ দল
নিবন্ধনে আগ্রহী ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ১৪৩টির মধ্যে ৮৪টি দল তথ্য ঘাটতি পূরণ করে জমা দেয়; ৫৯টি দল কোনো ধরনের সাড়া দেয়নি। এই ৮৪টি দলের মধ্যে ২২টি দলের তথ্য সঠিক রয়েছে বলে আপাতত বাছাইয়ে পাওয়া গেছে। এই ২২ দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বাকি ১২১টি দল অযোগ্য বিবেচিত হয়েছে। তাদের কারণ দর্শানো নোটিশসহ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন ফেরত দেওয়া হবে।
প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলো হচ্ছে– আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-সিপিবি (এম), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।