34 C
Dhaka
মঙ্গলবার, আগস্ট ১২, ২০২৫

সফল যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী বেকারদের দেখাচ্ছেন আলোর দিশা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:রকি হাসান
আমিনুল হক সাদী একজন সফল যুব সংগঠক ও সমাজকর্মী। সমাজ কল্যাণে ও যুব উন্নয়নে নিবেদিত এক দিপ্ত যুবক। মিডিয়ার মাধ্যমে যুব উন্নয়নে বেকারদের কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০০৪ সালে কিশোরগঞ্জ যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হতে “গবাদী পশু, হাঁস মুরগী, ডেইরী ফার্ম,কৃষি ও প্রাথমিক চিকিৎসার উপর” তিন মাসের আবাসিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সে প্রশিক্ষণলব্দ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে যুবদের কল্যাণে নিয়োজিত হয়ে জেলায় যুুুব জাগরণে ও বেকারদের কল্যাণে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০১০ সালে যুব উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি যুব কল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন তৈরী করে দক্ষ যুব সংগঠক হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে যায় ।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক ২০২০ সালে এ সংগঠনটিকে নিবন্ধন দিলে তিনি আরও উৎসাহিত হন। এলাকায় তার যুব কর্মে উদ্বেলিত হয়ে আরও দশটি যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর যুবকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমে নিজ মহিনন্দ ইউনিয়ন, পরবর্তীতে সদর উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থেকে জেলা পর্যায়ে এমনকি জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সংগঠনের থেকে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে পেয়েছেন সম্মাননার স্বীকৃতি। জুলাই বিপ্লব ২০২৪ এ নিজ এলাকার যুবদের মধ্যে ভূমিকা রেখেছেন বিশেষ করে পুলিশের গুলিতে পা হারারো শিক্ষার্র্থী হাফেজ জুনায়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গুলিবিদ্ধ সমাজকর্মী মাসুম বিল্লাহসহ ৩০জনকে সংগঠনটির উদ্যোগে সম্মাননা ক্রেস্টও দিয়েছেন।
যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাদী কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ গুরুদয়াল সরকারী কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে মাস্টার্স পড়াশোনা করে সরকারী চাকুরীর দিকে না তাকিয়ে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস থেকে প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ‘সাদী সমন্বিত কৃষি খামার’ গড়ে তুলেন। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুরে মৎস্য চাষ, নিজস্ব জমিতে সামাজিক বনায়ন ও কৃষি জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান দিয়ে প্রচুর শাক শবজি উৎপাদন করে আমিষের ঘাটতি পুরণ ও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
সংগঠনটিকে করেছেন সক্রিয়। বর্তমানে তাঁর সংগঠনের ৫ শতাধিক সদস্যের একটি বিশাল টিম সমাজকর্মে কাজ করে যাচ্ছেন। সংগঠনটি জেলার তেরটি উপজেলায় শাখা কমিটি গঠন করে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তার এ সংগঠনের কার্যক্রমের মাধ্যমে এলাকায় ব্যাপকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সমাজকর্মী আমিনুল হক সাদীর সফলতা দেখে এলাকার বেকার যুবরাও কর্মসংস্থানের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি ৩ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছেন। তন্মধ্যে ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে তোলেছেন। সাদীর উদ্যোগে ও প্রচেষ্ঠায় এলাকার ১০জন বেকার যুবকের সরকারী-বেসরকারী চাকুরীতে কর্মসংস্থান হয়েছে। বিদেশে আরও ১০জন বেকারকে কর্মসংস্থানের সহযোহিতা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত দুজন ও প্রকল্পের কাজে শ্রমিকের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন। যুব কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে উৎপ্রোতভাবে জড়িত থেকে বিরল অবদান রেখে আসছেন।
সমাজ কল্যাণমুলক কর্মকান্ডে সাদী ও তার সংগঠন অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। বিশেষ করে করোনাকালে ১ হাজার দারিদ্র মানুষকে করোনার টিকা বিনামূল্যে রেজি: করে দিয়েছেন। ১০ হাজার মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বিপুল পরিমান ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। কয়েক শতাধিক দরিদ্র ও ৫জন প্রতিবন্ধীদেরকে হুইল চেয়ার প্রদান, ১০জন নারীকে সেলাই মেশিন প্রদানসহ কয়েক লক্ষাধিক নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। ১০ হাজার শীতার্তদেরকে শীতবস্ত্র ও কয়েক হাজার গাছের চারা বিতরণ করেছেন।
তাঁর সংগঠনের ব্যানারে নানা বিষয়ে বেকার যুব সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তোলেছেন। সাদীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি যুব নেতৃত্ব বিকাশে রয়েছেন সক্রিয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয়ভাবে বিভিন্ন সভা সেমিনারে ট্রেনিং ওয়ার্কশপে অংশ গ্রহণ করে প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন শতাধিক। আন্তর্জাতিক যুব সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ সামিটের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কান্ট্রি চ্যাপ্টারের অধীনেও যুবদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আমিনুল হক সাদী স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে খেলাধুলা, বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করে পেয়েছেন শতাধিক পুরস্কার ও সনদ। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে জেলার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করে ক্রেষ্ট ও প্রাইজবন্ড পেয়েছেন। এছাড়াও অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সাহিত্যিক এবং সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ৫০টি সনদ ও পুরস্কার লাভ করেছেন।
কিশোরগঞ্জের মহিনন্দের সন্তান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পা হারানো জুলাই যোদ্ধা হাফেজ মাও. জুনায়েদ আহমেদ বলেন,আমার প্রতিবেশী সফল যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদী ভাই আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। উনার সংগঠনের মাধ্যমে আমাকে সহ আরও জুলাই যোদ্ধাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়েছেন। আমি এই দক্ষ সফল যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদেরকে যুব সংগঠকের স্বীকৃতি প্রদানে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি ।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম মিয়া বলেন, যুব সংগঠক আমিনুল হক সাদীর প্রতিষ্ঠিত যুব উন্নয়ন পরিষদ নামের সংগঠনটির যাবতীয় কার্যক্রম প্রশংসনীয়। সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার বেকার যুব/যুব নারীদের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করে আসছে। এই সংগঠনের মাধ্যমে যুব প্রশিক্ষন ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে যুব নেতৃত্ব বিকাশে অনন্য ভূমিকা রাখছে। সংগঠনটি বেকার যুবদের কর্মসংস্থানে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে নতুন ক্ষেত্র তৈরী করে আসছে। শিশু কিশোর যুব ও বয়স্কদের অবসর সময় কাটানো ও জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য একটি আধুনিক মানের সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ৫ হাজার বইয়ের বিশাল পাঠাগার রয়েছে।
যুব কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়নমুলক কার্যক্রমে সংগঠনটি এগিয়ে আছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যাবতীয় কার্যত্রমে সংগঠনটি অংশ গ্রহণ করে সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। বেকার যুবদের নিয়ে যুব কল্যাণে ও সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, “আমিনুল হক সাদীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘যুব উন্নয়ন পরিষদ’ যুব সমাজের জন্য রোল মডেল। তার কর্মপরিকল্পনা, পাঠাগার নির্মাণ এবং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বেকারদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে।
কিশোরগঞ্জের সচেতন মহল মনে করেন, আমিনুল হক সাদী ‘জাতীয় যুব পদক’এর যোগ্য দাবিদার।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে

খবরের দেশ ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বুড়ি পোতাজিয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের যৌক্তিকতা বিষয়ে এক সেমিনার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের ওপরে অনুষ্ঠিত...