29.9 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, আগস্ট ১৪, ২০২৫

‘কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী’ দুই পরিচয়ই উপভোগ করছেন জেফার

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
বিনোদন ডেস্ক :
লক্ষ্য ছিল একটাই, গানের ভুবনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া। সে লক্ষ্য অনুযায়ী একের পর এক গানের আয়োজন করে যাচ্ছিলেন। সংগীতের অভিনব পরিবেশনায় দর্শক মনোযোগ কাড়তেও সময় লাগেনি। সবকিছুই ঠিক ছিল, তারপরও হঠাৎ বদলে গেল ভাগ্যরেখা। নাটকীয় ঘটনার মধ্য দিয়ে অভিষেক হলো অভিনেত্রী হিসেবে। অনুরাগীদের চোখে ধরা দিলেন আরেক পরিচয়ে। গান এবং অভিনয় দুই মাধ্যমেই বাড়ল ব্যস্ততা। অনুভব করলেন, কণ্ঠশিল্পী ও অভিনেত্রী দুই পরিচয়ই উপভোগ করছেন। দুটি কাজের প্রতি জন্ম নিয়েছে ভালোবাসা। শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলেন, দুই ভুবনের বাসিন্দা হয়ে নিরলস কাজ করে যাবেন। অনুগল্পের মতো করে বলতে গেলে, এটুকুই জেফার রহমানের কণ্ঠশিল্পী থেকে অভিনেত্রী হয়ে ওঠার অতীত। সংক্ষেপে বলা হলো, গল্পটা তত ছোটও নয়।
গানের কথা যদি বলি, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৫ বছর আগের সেই সময়ে, যখন ইংরেজি গানের জন্য জেফারের আলাদা পরিচিতি গড়ে উঠেছিল। এ দেশের প্রথম দিকের ইউটিউববেইজড মিউজিশিয়ানের অন্যতম একজন তিনি। বিখ্যাত সব ইংরেজি গান কাভার করে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। এক সময় বুঝতে পারেন, দেশীয় শ্রোতার মনোযোগ কাড়তে বাংলা গানের বিকল্প নেই। এরপর শুরু হয় তাঁর বাংলা গানের মিশন। অভিনব আয়োজন আর ভিন্ন ধাঁচের পরিবেশনা দিয়ে বাংলা গানের শ্রোতাহৃদয় জয় করতেও সময় লাগেনি তাঁর। কারণ একটাই, গানের পসরা তিনি সাজিয়ে চলেছেন মেলো-রোমান্টিক থেকে শুরু করে পপ-রক, টেকনো, ফোক ফিউশনসহ নানা ধরনের গানে; যার সুবাদে জেফারকে দর্শক-শ্রোতা প্রতিবারই নতুনভাবে আবিষ্কারের সুযোগ পেয়েছেন। সদ্য প্রকাশিত ‘ভালো করিয়া’ গানে দেখা মিলেছে ভিন্ন এক জেফারের। মাস্টার ডি’র সঙ্গে তাঁর এই যৌথ আয়োজন অল্প সময়েই দর্শক-শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে। একইভাবে শ্রোতামনে এখনও অনুরণন তুলে যাচ্ছে তাঁর গাওয়া ‘ঝুমকা’, ‘তীর’, ‘আড়ালে হারালে’ থেকে শুরু করে ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে গাওয়া ‘লিচুর বাগানে’, ‘দাগি’র ‘নিয়ে যাবে কি’, ‘ইনসাফ’-এর ‘ধামাকা’, ‘ন ডরাই’র ‘হারব না’সহ অন্য গানগুলো। এ কথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, কণ্ঠশিল্পী হিসেবে জেফারের যাত্রাটা এখন অনেকটাই মসৃণ। অবাক করা বিষয় হলো, এখন জেফারের গান নিয়ে যতটা আলোচনা হচ্ছে, ঠিক ততটাই তাঁর অভিনয় নিয়ে। অথচ মাত্র এক বছর আগে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনেত্রী হিসেবে অভিষেক হয়েছে তাঁর। এরপর তাঁকে দেখা গেছে শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন-২’ ওয়েব সিরিজে। এই দুই সিনেমা ও সিরিজে শুধু অভিনয়ই নয়, দর্শক-শ্রোতার হৃদয় জয় করেছেন প্লেব্যাক করেও। তাঁর গাওয়া ফোক ফিউশন ‘সুন্দরী কমলা’ এবং ভিন্ন আঙ্গিকের গান ‘বৈয়াম পাখি ২.০’ অনুরাগীদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। বিস্ময় জাগানিয়া ছিল, তাঁর অভিনীত চরিত্র পর্দায় বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপনার বিষয়টি। এটি কীভাবে সম্ভব হলো? সেই প্রশ্নের উত্তরে জেফারের এককথার জবাব, অভিনয়ের যা কিছু করে দেখাতে পেরেছেন, তা সম্ভব হয়েছে পরিচালকের নির্দেশ মেনে কাজ করার কারণে।
তিনি এও বলেন, ‘‘মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডার অব মনোগামী’ সিনেমার আগেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু মন সায় দেয়নি বলে করা হয়নি। তারপরও ফারুকী ভাইয়ের প্রস্তাবটা আমাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছিল। কেননা, স্বনামধন্য এই নির্মাতার কাজ সম্পর্কে ভালোভাবেই জানি। অন্যান্য নির্মাতা থেকে তাঁর কাজের ধরন যেমন আলাদা, তেমনি আছে নিজস্বয়তার ছাপ। অনেক ভাবনা-চিন্তার পর শেষমেশ অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা নিয়েই  ফেলি। এভাবেই অভিনয় জগতে চলে আসা।’ এ তো গেল অভিনয়ের অভিষেকের কথা। ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন-২’-এ অভিনয় নিয়েও কি আলাদাভাবে ভেবেছেন? এর জবাবে জেফার বলেন, প্রথম সিনেমা থেকে দর্শকের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়ায় বেড়ে গেছে অভিনয়ের ক্ষুধা। যাদের জীবন কাছ থেকে দেখা হয়নি, মনের গহিনের মানুষটি কেমন, জানার সুযোগ পাইনি, তেমনই কিছু চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে জীবনভ্রমণের ইচ্ছা বেড়েই চলেছে; যা শুধু অভিনয়ের মধ্য দিয়েই সম্ভব। তাই নির্মাতা শিহাব শাহীন আবার যখন ‘তুমি আমি শুধু’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব দেন, তখন তা লুফে নিতে খুব একটা ভাবিনি। কারণ, তাঁর কাজটি যে ব্যতিক্রম ও সময়োপযোগী হবে– এটুকু বিশ্বাস আছে।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

খবরের দেশ ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুটকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সাত...