33.1 C
Dhaka
শুক্রবার, আগস্ট ১৫, ২০২৫

নানা আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে শাখা ছাত্রশিবির

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
কুবি প্রতিনিধি:

‎নানা আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করেছে শাখা ছাত্রশিবির।

‎বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সপ্নচূড়া রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হয় নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রায় আট শতাধিক নবীন শিক্ষার্থীকে ফুল ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে বরণ করে সংগঠনটি।

‎কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্য দেন কুবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ মাজহারুল ইসলাম, এবং সঞ্চালনা করেন শাখা সেক্রেটারি মোজাম্মেল হোসেন আবির।

‎অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর মো. হায়দার আরিফ। প্রধান আলোচক ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কলেজ সম্পাদক হাফেজ ইউসুফ ইসলাহী এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যবসা শিক্ষা সম্পাদক আবু হানিফ মোহাম্মদ নোমান ও কুবি শাখা শিবিরের সাবেক সভাপতি শাহাদাত হোসাইন।

‎উদ্বোধনী বক্তব্যে হাফেজ মাজহারুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই কুবি শিবির মেধা ও মননশীলতা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের আয়োজন। আমরা চাই এমন একটি ক্যাম্পাস, যেখানে কুলষিত ছাত্র রাজনীতি থাকবে না, দ্বিতীয় কোনো খালেদ সাইফুল্লাহকে অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রাণ দিতে হবে না। আমরা চাই র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত পরিবেশ, যেখানে সবার সমান অধিকার থাকবে।”

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে। তবে যদি কোনো সংগঠন জোরপূর্বক শোডাউন, গেস্ট রুম বা র‌্যাগিং চালু করে, তবে সেটি বয়কট করতে হবে। ৫ আগস্টের পর শিবির ছাত্রবান্ধব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আদর্শগতভাবে পরাজিত বাম শক্তি ও তাদের সহযোগী ছাত্রলীগ তা বন্ধ করতে চাইলেও ব্যর্থ হবে।” তিনি নবীনদের লক্ষ্য স্থির করে সময়ের সঠিক ব্যবহার, সচেতনভাবে বন্ধু নির্বাচন এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

‎প্রধান আলোচক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী বলেন, “ছাত্রশিবির শিক্ষার্থীদের নৈতিক, সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যাতে তারা বস্তুবাদে না জড়িয়ে জান্নাত-উপযোগী মানুষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান, দক্ষতা ও চরিত্র গঠনের শ্রেষ্ঠ সময়, যা অপচয় করা যাবে না। বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন এবং প্রযুক্তি ও কম্পিউটার স্কিলে পারদর্শিতা অত্যন্ত জরুরি। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ক্র্যাকডাউনের শিকার হয়ে জুলাই অভ্যুত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে, তাই এখানকার শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চায় অগ্রণী হতে হবে।”

‎প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. তানভীর মো. হায়দার আরিফ বলেন, “কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানাই। হাজার বছর আগে এ দেশ ছিল শৌর্য-বীর্যে পরিপূর্ণ ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ। জার্মানরা নিজেদের ইনোভেটিভ জাতি দাবি করলেও, ঢাকার পাশের সেই গোলাপি দালানগুলো সাক্ষ্য দেয় যে এখানে প্রথম উদ্ভাবিত হয়েছিল মসলিন—যা আজও জার্মানরা তৈরি করতে পারেনি। আমার এই সুন্দর দেশটি এক স্বর্গ, যেখানে বারোমাসে প্রকৃতি বারো রকম সাজে সজ্জিত হয়। জুলাইয়ে প্রবীণরা নয়, তোমরাই আমাদের পথ দেখিয়েছো। তাই আমরা তোমাদের পথেই চলতে চাই।”


- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার

খবরের দেশ ডেস্ক : গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। উচ্চ আদালত থেকে তিনি...