Your Ads Here 100x100 |
---|
রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদনগুলো প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেন যে, ছয়টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এখন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে এবং শনিবার বিকাল সাড়ে ছয়টায় কমিশনের প্রধানরা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য সুপারিশমালা পেশ করবেন।
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর ড. মুহাম্মদ ইউনুস রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কার আনতে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করেন। কমিশনগুলোর উদ্দেশ্য ছিল, রাষ্ট্রের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক কাঠামো, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং বিচার বিভাগে মৌলিক সংস্কার আনা। এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখের মধ্যে। তবে নির্ধারিত সময়ের ১৫ দিন পর, ১৫ জানুয়ারি, সংবিধান, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন ৫ ফেব্রুয়ারি জমা দেয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, শনিবার সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ও সুপারিশমালা রাজনৈতিক দল এবং গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তির কাছে পাঠানো হবে। এসব সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের পক্ষ থেকে আলোচনা হবে এবং একমত হলে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আলোচনার পরবর্তী ধাপে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর একটি সিদ্ধান্তে নেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে যে, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এই বৈঠকে কমিশনের সুপারিশ এবং এর বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করা হবে, যাতে দেশব্যাপী সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়।
৬টি সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এবং সুপারিশসমালা দেখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে (https://cabinet.gov.bd) ভিজিট করুন ।