27.7 C
Dhaka
রবিবার, আগস্ট ১৭, ২০২৫

বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার ইলা মজুমদার

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
খবরের দেশ ডেস্ক :
ইলা মজুমদারের জন্ম ১৯৩০ সালের ২৪শে জুলাই বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর গ্রামে। পিতা যতীন্দ্র কুমার মজুমদার ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মা ছিলেন গৃহবধূ । যতীন্দ্রবাবু ছোট থেকেই মেয়েকে মুক্ত পরিবেশে বড় করে তোলেন। ১২ বছর বয়সেই ইলা সাইকেল চালাতে পারত। মাত্র ১৬ বছর বয়সে শিখেছিলেন জিপ চালানো। খুলনায় তিনি নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। এরপর ১৯৪৫ সালে ইলাদের পুরো পরিবার কলকাতায় চলে আসে।
১৯৪৭ সাল। ভারত ভাগ হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ পুরুষদের একচ্ছত্র আধিপত্য। পশ্চিমবাংলার বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ তখন ইঞ্জিনিয়ারিং এর অন্যতম পীঠস্থান। ১৯৪৭ সালেই পশ্চিমবাংলার তৎকালীন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ দরজা খুলে দিল মহিলাদের জন্যে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন দুইজন ছাত্রী। ভর্তি হলেন দুজনেই। কিন্তু একজন দ্বিতীয় বর্ষেই কলেজ ছাড়লেন।
রইলেন একজন ছাত্রী। প্রচন্ড শারীরিক পরিশ্রম দরকার বলে অধ্যক্ষ তাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে নিষেধ করেন। শেষে ইলা ভর্তি হন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে।
১৯৫১ সালে তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। তিনিই ছিলেন বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। গোটা ব্যাচে তিনিই ছিলেন একমাত্র ছাত্রী। বাকি সকলেই ছিলেন ছাত্র।
প্রথম প্রথম মানিয়ে নিতে অসুবিধা হলেও ধীরে ধীরে ছাত্রদের সাথে বন্ধুত্ব হয়ে যায় তার। তখন ছাত্রীদের জন্যে আলাদা হোস্টেল ছিল না তাই ইলা মজুমদার থাকতেন লাইব্রেরির বাম প্রান্তের একটি ঘরে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পুলিন বিহারী ঘোষ এই সময় তার পাশে দাঁড়ান। কলেজে তিনিই ছিলেন ইলার অভিভাবক।
১৯৫১ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হলেন ইলা। তারপর ট্রেনিং করতে যান গ্লাসগো। ট্রেনিং শেষে ভারতে ফিরে এসে দেরাদুনের অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাজে যোগ দেন। তিনি ভারতের প্রথম মহিলা যিনি ভারী যন্ত্রাংশ তৈরীর কারখানায় কাজ করেছেন। সেই সময় ইলা থাকতেন স্টাফ কোয়ার্টারে। ছয় মাস চাকরি করার পর দিল্লি পলিটেকনিক কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এরপর কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ জুট টেকনোলজিতে লেকচারার ছিলেন তিনি।
কলকাতার প্রথম মহিলা পলিটেকনিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। ইলা মজুমদার ই ছিলেন ঐ কলেজের প্রথম প্রিন্সিপাল। তার কর্মকান্ডে মুগ্ধ হয়ে ১৯৮৫ তে জাতিসংঘের তরফ থেকে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় ঢাকা শহরে একটি মহিলা পলিটেকনিক কলেজ খোলার। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ছাড়তে রাজি ছিল না। কিন্তু মাতৃভূমির টান তিনি ফেরাতে পারেন নি। ঢাকা এসে সাফল্যের সঙ্গেই কলেজ প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সম্পন্ন করেন।।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

গুজব আর হুমকিতে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না : বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক: ১৫ আগস্টে শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোকবার্তা জানান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সরব...