Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্ক :
সুনামগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়ক। সড়কটি সিলেট ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম। এই সড়ক দিয়ে জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ৮টি উপজেলার মানুষ জেলা ও রাজধানীতে যাতায়াত করে। সড়কটি দিন দিন যেন এক মৃত্যুপুরিতে পরিণত হচ্ছে।
গত ৬ মাসে এই সড়কে দুর্ঘটনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আঞ্চলিক এই মহাসড়কটি এক লেনের ও সরু হওয়ায় প্রতিনিয়তই বাস-সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। এ ছাড়াও দুর্ঘটনার জন্য ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালককে দায়ী করছেন তারা।
এতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং টেকনোলজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশি ও সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী প্রাণ হারান। এ ছাড়াও অটোরিকশায় থাকা আরো এক যাত্রী নিহত হন। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুনামগঞ্জবাসী। বাসচালককে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
শাকিব মাহমুদসহ জেলার সচেতন মহল জানায়, আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসের চেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশাই বেশি চলাচল করে। এসব দুর্ঘটনার বেশিরভাগই অটোরিকশার কারণে ঘটছে। সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে ফিটনেসবিহীন বাস ও অদক্ষ চালকের গাফিলতির কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, জেলায় প্রায় ১৩ হাজার সিএনজি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে সাড়ে ৪ হাজারের।
বাকিগুলো চলছে বিবন্ধনহীনভাবে। অপরদিকে প্রায় সুনামগঞ্জ জেলায় বাস চলাচল করছে প্রায় এক হাজার। তাদের অধিকাংশেরই নেই ফিটনেস। সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কটি চার লেন প্রকল্পটি আটকে আছে মন্ত্রণালয়ে। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকদের অধিকাংশেরই নেই লাইসেন্স। একই দশা বাস চালকদের।
নাদিম আহমেদ, ফারুক মিয়াসহ শিক্ষার্থীরা জানান, বেশিরভাগ চালকই অদক্ষ ও লাইসেন্স নেই। অদক্ষ বাস চালকদের কারণে এই সড়কটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
বাহাদুরপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জহির মিয়া, শফিক মিয়াসহ কয়েকজন জানান, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কটিকে এক লেন থেকে দুই লেন করলে দুর্ঘটনা কিছুটা কমে আসবে।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শেখ আব্দুল লতিফ-প্রক্টোর জানান, গাড়ির চালকরা মাদকাসক্ত কি না সেটাও দেখা দরকার। সড়ক নিরাপদ রাখার জন্য আইন আছে সেই আইন প্রয়োগ করলে দুর্ঘটনা কমে আসবে।
সুনামগঞ্জ বিআরটিএ সহকারী পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, যেসব চালক হালকা যানের লাইসেন্স নিয়ে ভারী যান চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাফিক অফিস পরিদর্শক মো. হানিফ মিয়া জানান, চালকের অদক্ষতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে।