Your Ads Here 100x100 |
---|
গত ৫ই আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন চলছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসেই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে। নাগরিক কমিটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কেউ দলে যোগ দিতে হলে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে নাগরিক কমিটির একটি বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে শুধু নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন। এক্ষেত্রে আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সব পক্ষ একমত হয়েছে।
তবে সরকারে থাকা অন্য দুই ছাত্র প্রতিনিধি এখনই পদত্যাগ করছেন না। তারা নির্বাচনের আগে পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন। এই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ এসেছে মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে। ইতিমধ্যেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সারা দেশে কমিটি গঠন করেছে। পাশাপাশি গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি, যা থানা পর্যায় পর্যন্ত গঠন করছে।
নতুন রাজনৈতিক দলটি গঠিত হবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। শুরুতেই গঠন করা হবে একটি আহ্বায়ক কমিটি, যা দলের কর্মকৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। নতুন দলটির লক্ষ্য থাকবে বৈষম্য, দুর্নীতি এবং রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলা। এছাড়াও, দেশের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাখাতের উন্নয়নকে প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব নতুন কোনো ঘটনা নয়। বর্তমান সরকারের আমলেও কয়েকটি নতুন দল আত্মপ্রকাশ করেছে। তবে অতীতে দেখা গেছে, খুব কম দলই রাজনৈতিক অঙ্গনে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পেরেছে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের এই নতুন রাজনৈতিক দল কতটা প্রভাব ফেলতে পারবে, তা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
এরই মধ্যে দলটি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন এই দলটি যদি সঠিক নীতি ও কর্মকৌশল গ্রহণ করে, তবে এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন দিক নির্দেশনা দিতে পারে। অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই দলটির সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করবে তাদের সংগঠনিক দক্ষতা এবং জনগণের আস্থার উপর।