31.2 C
Dhaka
সোমবার, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫

তাড়াইলে ১২ বছরের শিশু অন্তঃসত্ত্বায় ধর্ষক হোসেন মিয়া গ্রেফতার

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ধর্ষণের শিকার ১২ বছরের শিশু ডাক্তারি পরীক্ষায় অন্তঃসত্ত্বা ধরা পড়লে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্টাফ ও আশেপাশের জনতা ধর্ষক হোসেন মিয়া’কে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেয়। আটক হোসেন মিয়া (৪৫) তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।

রবিবার(৭সেপ্টেম্ভর) ধর্ষিতা শিশুর বাবা নুরু মিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ধারায় তাড়াইল থানায় মামলা করেন। মামলা নং ৯ (১)। এফআইআর নং-২। পরে ধর্ষক হোসেন মিয়াকে দুপুর ১টায় কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।

হাসপাতাল ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বেসরকারি হাসপাতালে অভিভাবকের সাথে ধর্ষণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েটি চিকিৎসা নিতে গেলে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ তুহিন আলট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন। পরীক্ষার রিপোর্টে ওই শিশুটি ২৫ সপ্তাহের গর্ভবতী। এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি অভিভাবককে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই শিশুটির স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, তার প্রতিবেশী হোসেন মিয়া নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনায় জড়িত। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকের উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত হোসেন মিয়া’কে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

থানার মামলা সূত্রে জানা যায়,ধর্ষণের শিকার শিশুটি কলুমা ইকরা বাবুল উলুম মাদরাসায় ৬ষ্ট শ্রেনীতে লেখাপড়া করেন। ধর্ষক হোসেন মিয়ার বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের ২ তারিখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ীতে আসার সময় বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিটে লাল মিয়া মাস্টারের পরিত্যাক্ত পুকুরের কাছে আসা মাত্রই শিশুটির পথ আটকিয়ে মুখ চেপে ধরে লাল মিয়া মাস্টারের পরিত্যক্ত পুকুরের পাশে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষন করে এবং হুমকি দেয় ধর্ষনের বিষয়ে মুখ খুললে তার বাবা ও মা’কে খুন করে ফেলবে।ভয়ে শিশুটি নিজের মা-বাবার কাছেও গোপন রাখে। পরবর্তীতে ধর্ষক হোসেন মিয়া বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করতো।

আরও পড়ুনঃ ডাকসু নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার ধলা ইউনিয়নের কলুমা গ্রামের একাধিক বাসিন্দা বলেন, হোসেন মিয়া লোকটা খুবই খারাপ। এলাকার ছোট বাচ্চারা তাকে অনেক ভয় পায়।ধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফরোজ আলম ঝিনুক বলেন, তাড়াইলের একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্টাফ ও স্থানীয় জনতা ধর্ষক হোসেন মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাতে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

তাড়াইল থানার (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ কর্মকর্তা সাব্বির রহমান ঘটনায় সত্যতা স্বীকার করে বলেন,কলুমা গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে হোসেন মিয়ার নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষীতা শিশুটির বাবা নুরু মিয়া মামলা দায়ের করেছেন। রোববার দুপুর ১টায় হোসেন মিয়াকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ভিকটিম শিশুটির প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবা-মায়ের হেফাজতে আছে।

মুকুট রঞ্জন দাস,তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এক সাংবাদিক অতর্কিত হামলার শিকার

  রকি হাসান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছাত্র জনতার সংস্কার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে...