- Advertisement -
Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
গত বৃহস্পতিবার নেপাল সরকার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (পূর্বে টুইটার), লিংকডইনসহ মোট ২৬টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার সীমিত করে। সরকারের দাবি, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে এসব প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষ নিবন্ধন নেয়নি, তাই এগুলোতে ব্যবহারকারীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করা হয়েছে। সরকার যুক্তি দিয়েছে যে, অনলাইনে বিদ্বেষ, গুজব ও সাইবার অপরাধ ঠেকাতে নিবন্ধনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে, এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে নিজেদের মতামত প্রকাশ, ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সুযোগ হারানোর আশঙ্কা করছেন।
সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাজধানী কাঠমান্ডুর পার্লামেন্ট ভবনের সামনে হাজার হাজার তরুণ বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা সরকারের দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে স্লোগান দেন। প্রতিবাদকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে পার্লামেন্ট ভবনের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন, যা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পুলিশ প্রথমে টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে, কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে পুলিশ গুলি চালালে অন্তত ১৬ জন নিহত হন এবং শতাধিক আহত হন।