30.8 C
Dhaka
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫

বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, পার্লামেন্টে ঢুকে পড়েছে ছাত্র-জনতা

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
নেপালে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (পূর্বে টুইটার), লিংকডইনসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার পেছনে সরকারী যুক্তি হলো—এই প্ল্যাটফর্মগুলো নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে নিবন্ধন নেয়নি। সরকারের দাবি, এসব প্ল্যাটফর্মের কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা মানেনি। ফলে, অনলাইনে বিদ্বেষ, গুজব ও সাইবার অপরাধ ঠেকাতে নিবন্ধনের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তবে, এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। কাঠমান্ডুর মৈতিঘর এলাকায় শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ রাজধানীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করেন, যার ফলে পুলিশ গুলি, টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করতে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স ও লিংকডইনসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, টিকটক, ভাইবারসহ আরও তিনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালু থাকবে, কারণ তারা সরকারের সঙ্গে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এবং তার বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিবাদ আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে।
পার্লামেন্টে ঢুকছে বিক্ষোভকারীরা।পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় যখন সরকার নিবন্ধনহীন ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্তকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। ক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম তখন অনলাইন আন্দোলনকে সড়কে নিয়ে আসার ডাক দেন।
কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠন অনুমতি নিয়ে এদিনের সমাবেশ আয়োজন করে। সংগঠনের চেয়ারম্যান সুধান গুরুং জানান, সরকারের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শুধু রাজধানী নয়, দেশজুড়েই একই সময়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগেভাগে বিক্ষোভের রুট ও নিরাপত্তা নির্দেশনা শেয়ার করেছিলেন। এমনকি শিক্ষার্থীদের স্কুল ইউনিফর্ম পরে বই হাতে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল, যাতে এই আন্দোলন আরও প্রতীকী রূপ পায়।
বিক্ষোভ চলাকালীন সহিংসতা বাড়তে থাকলে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন দ্রুত কয়েকটি এলাকায় কারফিউ জারি করে। প্রথমে বানেশ্বরের কিছু অঞ্চলকে ‘নিষিদ্ধ এলাকা’ ঘোষণা করা হয়। পরে রাষ্ট্রপতির বাসভবন শীতলনিবাস, উপ-রাষ্ট্রপতির বাসভবন লেইনচৌর, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন বালুয়াটার ও আশপাশের এলাকাতেও কারফিউ জারি করা হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে এই আন্দোলন নেপালের রাজনীতিতে বড় ধরনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপ হয়তো সাময়িকভাবে বিক্ষোভ থামাতে সক্ষম হবে, কিন্তু তরুণদের ক্ষোভ আরও গভীর হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

নেপালের সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী, কে এই বালেন

খবরের দেশ ডেস্ক : ছাত্র–জনতার বিক্ষোভে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মার পদত্যাগের পর নেপালে এখন নতুন নেতৃত্বকে ঘিরে তীব্র আলোচনা চলছে। এরই...