নেপালে সরকারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রক্তের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশজুড়ে প্রাণহানি ১৯ জনে পৌঁছেছে এবং বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৪৭ জন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টার ও বীর হাসপাতালে সেন্ট্রাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিস (ব্লাড ব্যাংক) থেকে ২০০ পিন্টেরও বেশি রক্ত সরবরাহ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সার্ভিসের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার সঞ্জীব কুমার যাদব জানান, “রক্তের জন্য ফোন ক্রমাগত বেজে চলেছে, আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছে এমন হাসপাতালগুলো নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।”
এছাড়া, সোমবার একদিনেই ১,২০০ পিন্ট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে মানুষের দীর্ঘ লাইন পড়েছে।
বিক্ষোভের কারণে হাসপাতালগুলোতে রক্তের চাহিদা বিপুল বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং সাধারণ মানুষও এতে অংশগ্রহণ করছে।
সঞ্জীব কুমার আরও জানান, “রক্তের চাহিদা আরও বাড়তে পারে বলে মনে হচ্ছে, রক্ত সংগ্রহের কাজে আমরা ২০ জন কর্মকর্তা মোতায়েন করেছি”।
সামাজিকমাধ্যম ব্যবহারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির প্রতিবাদে নেপালে বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও ছাত্র-জনতা পোখারা, বুতোয়াল, ভারতপুর ও ইতাহারিসহ কয়েকটি শহরের রাস্তায় নামে। সকালে কাঠমান্ডুর বাণেশ্বর এলাকায় প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় এবং অল্প সময়ের মধ্যে তা রাজধানীর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে সরকার। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভকারীদের সংঘাত হয়েছে।