Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ;
নেপালের ইতিহাসে নতুন মাইলফলক রচনা করলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি হয়ে গেলেন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট রাম সহায় যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাওয়াত, সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেলসহ শীর্ষ ব্যক্তিরা। এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রদূত নবীন শ্রীবাস্তবও নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
কার্কির শপথ গ্রহণের পর নেপালে আগামী ২০২৬ সালের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের জেরে কেপি শর্মা ওলি সরকারের পতনের পর প্রেসিডেন্ট, সেনাপ্রধান এবং তরুণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়।
তবে এ পথে অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। আন্দোলনকারীদের একটি অংশ বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে খ্যাত কুলমান ঘিসিংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। আবার আলোচনায় উঠে এসেছিল কাঠমাণ্ডুর মেয়র ও জনপ্রিয় র্যাপার বলেন্দ্র শাহের নামও। যদিও শাহ নিজেই কার্কির প্রতি সমর্থন দেন।
৭২ বছর বয়সী সুশীলা কার্কি নেপালের প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি ছিলেন (২০১৬-১৭)। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান, ন্যায়বিচার ও সততার জন্য তিনি দেশে পরিচিতি আছে তার। দায়িত্বকালীন সময়ে মন্ত্রীদের জেলে পাঠানো থেকে শুরু করে সরকারের সঙ্গে সংঘাতেও তিনি পিছু হটেননি। যদিও তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত অভিশংসন প্রক্রিয়ার চেষ্টা হয়েছিল, যা পরে ভেস্তে যায়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে—একদিকে অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অন্যদিকে দুর্নীতিবিরোধী প্রত্যাশা পূরণ।