Your Ads Here 100x100 |
---|
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং মহানগর পুলিশ থেকে যথাযথ অনুমতি নেওয়ার পরও উত্তরায় বসন্ত উৎসব করতে পারেনি ‘জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ’।
আয়োজকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা রাতভর বাধাদানকারীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। এমনকি, আয়োজকদের মধ্যে একজনকে ‘আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দেওয়ার পর তাকে অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্টতা থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত উৎসবটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলা এবং পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশাপাশি উত্তরার উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্ত উৎসবের আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। শুক্রবার সকালে চারুকলা ও বাহাদুর শাহ পার্কে উৎসব স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠিত হলেও উত্তরার আয়োজন বাতিল করতে হয়েছে।
জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করেছি এবং অনুমতিও পেয়েছি। এমনকি ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেছি। পুলিশ থেকেও অনুমতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্থানীয়দের বাধার কারণে অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি।”
জানা গেছে, ইমন রহমান ফরহাদ নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এ বাধা দেওয়া হয়েছে। ফোনে যোগাযোগ করা হলে ইমন নিজেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তুরাগ থানার মুখপাত্র হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি দাবি করেন, “উৎসবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন আওয়ামী লীগের দোসর।” তবে সেই ব্যক্তির নাম জানাতে পারেননি।
বাধার আরেকটি কারণ হিসেবে ইমন বলেন, “আমরা ৫ আগস্টের পর এই মঞ্চটিকে ‘মীর মুগ্ধ মঞ্চ’ নাম দিয়েছি। কিন্তু বসন্ত উৎসব আয়োজকরা এটি ‘উন্মুক্ত মঞ্চ’ হিসেবে উল্লেখ করছেন। আমরা সাত মাস ধরে মঞ্চটি রক্ষণাবেক্ষণ করছি।”
সিটি কর্পোরেশনের অনুমতিপত্রে অবশ্য ‘উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের রবীন্দ্র সরণি সংলগ্ন উন্মুক্ত মঞ্চ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, “বিষয়টি আমরা জানতাম না। খোঁজ নিয়ে দেখব।