Your Ads Here 100x100 |
---|
শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচ শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে এই লড়াই, যা বাংলাদেশের সুপার ফোরে যাওয়ার ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিমদের পরবর্তী রাউন্ডে ওঠার সম্ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
এ নিয়ে গতকাল আবুধাবির হোটেল পার্ক রোটানায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় নাসুম আহমেদ বলেন, “যারা ভালো খেলবে, তারাই জিতবে। নির্দিষ্ট কারও জন্য দোয়া বা সমর্থনের প্রয়োজন নেই। যা হওয়ার, সেটাই হবে।”
তবে সমর্থকদের অনুভূতি ভিন্ন। শ্রীলংকা ক্রিকেটের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে অনেক বাংলাদেশি ভক্ত লিখেছেন— “জেগে ওঠো লংকান সিংহরা”, সঙ্গে দিয়েছেন বাংলাদেশের পতাকার ইমোজিও। একইভাবে শ্রীলংকা দলের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতেও বাংলাদেশের সমর্থকদের শুভকামনার বার্তা ভেসে উঠেছে।
২০১৮ নিদাহাস ট্রফি থেকেই বাংলাদেশ-শ্রীলংকার খেলাকে আলাদা রঙ মেলে ‘নাগিন ডার্বি’ খ্যাত। কলম্বোতে মুশফিকুর রহিমসহ বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ‘নাগিন ড্যান্স’ তৎকালীন বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল এবং তার পরবর্তী ম্যাচগুলোতেও দুদেশের খেলোয়াড় এবং সমর্থকরা মাঝে মাঝে সাপের মতো অঙ্গভঙ্গি করে মজা করতেন। সেই ঐতিহ্য সামাজিক মাধ্যমে দুদেশের সমর্থকদের লড়াইকেও বিশেষ মাত্রা দিয়েছে কিন্তু এবার পরিস্থিতি অন্যরকম; বাংলাদেশি ভক্তরা সক্রিয়ভাবে শ্রীলংকার সফলতা কামনা করছেন।
আরও পড়ুনঃ অবরুদ্ধই আছে ফুটবলারা,দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা
টুর্নামেন্টের অবস্থান (বর্তমান): বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা দুই দলেরই পয়েন্ট ৪। তবে নেট রান রেটে (+১.৫৪৬) শ্রীলংকা শীর্ষে আছে, আর বাংলাদেশের নেট রানরেট -০.২৭০। আফগানিস্তানেরও ২ পয়েন্ট থাকলেও তাদের নেট রানরেট গ্রুপে সবচেয়ে বেশি, +২.১৫। আর হংকং কোনো ম্যাচ না জিতেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে।
সুপার ফোরে উঠার সরল হিসাবটি তাই এখন এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে শ্রীলংকা যদি আজ আফগানিস্তানকে হারিয়ে দেয়, তখন বাংলাদেশ বিনা সমীকরণে সুপার ফোরে উঠার সুযোগ পেতে পারে। যদি আফগানিস্তান আজ শ্রীলংকাকে পরাজিত করে, তাহলে বাংলাদেশের সুপার ফোরে ওঠার সমীকরণ অনেক জটিল হয়ে যাবে।
লিটন, তানজিদ তামিম ও নাসুম আহমেদরা গতকালই আবুধাবি ছেড়ে দুবাইয়ে পৌঁছে গেছেন। নিয়ম অনুযায়ী, বাংলাদেশ যদি ‘বি২’ হিসেবে সুপার ফোরে উঠে, তবে তাদের সব ম্যাচই দুবাইয়ে খেলতে হবে; আর যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে একটি ম্যাচ আবুধাবিতে এবং বাকি দু’টি ম্যাচ দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেটার আগে প্রয়োজন সুপার ফোরে ওঠা; আর তার জন্য আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।