রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ‘সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস’ ট্রেনে ঘটে এক নাটকীয় ঘটনা। ট্রেনের ভেতরেই সন্তান জন্ম দেন রেশমা খাতুন (২৭) নামের এক প্রসূতি। টানা ২ ঘণ্টা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর রেলওয়ে কর্মী, ফায়ার সার্ভিস এবং যাত্রীদের সহযোগিতায় প্রাণে বেঁচে যান মা ও শিশুপুত্র।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে দর্শনা স্টেশন ছেড়ে আসার পর ঝাঁকুনিতে হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় রেশমার। একপর্যায়ে ট্রেনেই নবজাতকের জন্ম দেন তিনি। তবে সন্তানের নাড়ি কাটা সম্ভব না হওয়ায় মা-শিশু দুজনকেই গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। এমতাবস্থায় প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
ট্রেন যশোর স্টেশনে পৌঁছালে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। দুপুর ১২টার দিকে তৃতীয় লিঙ্গের কিছু মানুষের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা মা ও নবজাতককে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্র মল্লিক জানান, ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নবজাতকের নাড়ি কেটে লেবার ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রেশমাকে দুই ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। পরে গাইনি বিভাগের চিকিৎসক রাবেয়া খাতুন জানিয়েছেন, বর্তমানে মা ও সন্তান দুজনই সুস্থ আছেন।