27 C
Dhaka
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক । কি ভাবছে ঢাকা দিল্লী ?

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

বাংলাদেশ–ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অভূতপূর্ব চাপ ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ৫ আগস্টের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের অভ্যন্তরীণ ও দ্বিপাক্ষিক প্রেক্ষাপটে টানাপোড়েন বেড়ে গেছে, যা দুই প্রতিবেশী দেশের নীতিতে স্পষ্ট প্রতিফলিত হচ্ছে।

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে, ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের ফাঁকে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ তাদের পারস্পরিক স্বার্থ, উদ্বেগ ও চলমান কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে মতবিনিময় করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ও ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি, এই বৈঠক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রাসঙ্গিকতা পুনরায় নিশ্চিত করেছে।

বৈঠকের মূল আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ ছিল—বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন ও সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম। তৌহিদ হোসেন জোর দিয়ে জানিয়েছেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন, যার অংশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অস্থিরতা মোকাবিলায় উভয় নেতার সম্মিলিত উদ্যোগে, আগামী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সীমান্তরক্ষীদের মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলনের আয়োজনের কথাও আলোচনা করা হয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে সীমান্তসংক্রান্ত জটিলতা ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, বৈঠকের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, আলোচনার মূল ফোকাস ছিল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুসংহততা ও BIMSTEC শীর্ষ সম্মেলনের প্রসঙ্গ। এই বক্তব্যে জয়শঙ্কর দুই দেশের কূটনীতি ও সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন, যা সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অধিক গুরুত্ব লাভ করেছে।

এছাড়াও, পূর্ববর্তী বৈঠকগুলোর প্রেক্ষাপটে—নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে ও ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে, সেগুলো পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। এই সকল কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল করতে দু’দেশের উচ্চস্তরের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নেওয়া একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উভয় নেতার বিশ্বাস, বর্তমান কূটনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও সমঝোতা অপরিহার্য। সীমান্ত, পানিবণ্টন ও অন্যান্য চলমান ইস্যুগুলো নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা ও সম্মেলনের মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

আমির খানের নতুন প্রেমিকা কে?

তৃতীয় বিয়ের গুঞ্জন সত্যি করে অবশেষে নতুন প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে আনলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এ...