Your Ads Here 100x100 |
---|
নাটকের শুটিং শেষে ক্লান্ত শরীর, মন যেন বাড়ির শান্তি খোঁজে। কিন্তু সেই ফেরার পথ হয়ে উঠল এক দুঃস্বপ্নের অধ্যায়। ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা হারুন রশিদ ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন—সেই ভয়ংকর রাতের অভিজ্ঞতা তিনি ভাগ করে যানিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ।
গত শনিবার (১ মার্চ) রাত ১টা ৩০ মিনিটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সতর্কবার্তা দিয়ে হারুন লেখেন,
“কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড, রাতবিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খাইছি, কাল আপনি খাইতে পারেন।”
দর্শকদের সতর্ক করে তিনি আরও জানান,
“ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন, আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের ওপর দিয়ে যায়নি, টাকার ওপর দিয়ে গেছে। নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়ে গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা।”
এরপর, সেই রাতের কথা বলতে প্রায় সাত মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করেন তিনি।
হারুন রশিদ জানান, রূপগঞ্জে শুটিং শেষ করে তিনি সিএনজিতে করে ফিরছিলেন। কাঞ্চন থেকে মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের পথ পেরোতেই নীলা মার্কেটের কাছাকাছি এক অন্ধকার রাস্তায় আচমকাই থেমে গেল সিএনজির ইঞ্জিন। মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ল শীতল আতঙ্ক!
“৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে দুটি বাইকে হাজির হলো চারজন ছিনতাইকারী। দুইজনের হাতে বড় রামদা, অন্যদের কাছে চাপাতি। এক মুহূর্তও দেরি না করে মানিব্যাগ, মোবাইলসহ যা ছিল, সব দিয়ে দিলাম।”
কিন্তু এরপর ঘটল অদ্ভুত এক ঘটনা। ছিনতাইকারীদের একজন চিনতে পারল অভিনেতাকে! বলল,
“উনি তো অভিনয় করেন, ওনার মোবাইল নিস না। নিলে আমরা ঝামেলায় পড়ব।”
বাড়ি ফেরার পথে এমন বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে হারুন রশিদকে। তিনি বলেন,
“শুটিং ইউনিটের গাড়ি না নিয়ে ভুল করলাম, সিএনজিতে উঠলাম—এটাই আমার ভুল। ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে নির্বাক হয়ে রইলাম রাতের রাস্তায়। পরে এক বাইকারের সাহায্যে বাড়ি ফিরেছি, কিন্তু এখনো ভয় কাটছে না।”
হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য জনপ্রিয় হারুন রশিদ, দর্শকদের বহুবার হাসিয়েছেন। তার জনপ্রিয় কাজের তালিকায় রয়েছে ‘বাপ পোলা চোর’, ‘রহমত আলির কুলখানি’, ‘আগে টাকা পরে প্রেম’, ‘সেভ দ্য রিমি’ প্রভৃতি। কিন্তু বাস্তব জীবনে সেই মানুষটিই আজ আতঙ্কগ্রস্ত, এক ভয়াবহ বাস্তবতার শিকার।
এই ঘটনা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, রাতের শহর কতটা অনিরাপদ। হারুন রশিদের অভিজ্ঞতা যেন আমাদের জন্য সতর্কসংকেত হয়ে থাকে—রাতের পথ সাবধানে চলুন, ভুল সিদ্ধান্ত এড়ান, নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবুন। কারণ পর্দার গল্প আর বাস্তব জীবনের গল্প সবসময় এক হয় না!