Your Ads Here 100x100 |
---|
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকাই ঘোষণা করেছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির বিষয়ে তেহরান আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যালোচনা চলছে এবং গণমাধ্যমে প্রচারিত বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা সঠিক নয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) মেহর নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বাকাই বলেন, ট্রাম্পের চিঠির বিষয়বস্তু তার প্রকাশ্য বক্তব্যের তুলনায় খুব বেশি ভিন্ন নয়। তবে তিনি চিঠির বিস্তারিত প্রকাশে অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও স্পষ্ট করেন যে, ওমানে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সাম্প্রতিক সফরের সঙ্গে এই চিঠির কোনো সম্পর্ক নেই। ওই সফর মূলত আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং জেদ্দায় অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠক সম্পর্কিত ছিল।
বাকাই আরও জানান, চিঠির বিষয়ে পর্যালোচনা শেষ হলে যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করা হবে।
এর আগে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন, যেখানে নতুন একটি পারমাণবিক চুক্তির আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি একই সঙ্গে সতর্ক করে বলেন যে, তেহরানের সামনে দুটি পথ খোলা রয়েছে—ওয়াশিংটনের শর্ত মেনে আলোচনায় বসা অথবা সামরিক হামলার সম্মুখীন হওয়া।
খামেনি দ্রুত এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন, ‘অতিরিক্ত দাবি ও হুমকির মুখে ইরান কোনো আলোচনায় বসবে না।’
একইসঙ্গে, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও ট্রাম্পের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ‘তুমি যা খুশি তাই কর।’ ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে ইরানের প্রতিক্রিয়া কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে।
সর্বোপরি, ইরানের প্রতিক্রিয়া বেশ হিসাবি, এবং তারা কূটনৈতিকভাবে শক্ত অবস্থান বজায় রাখতে চাইছে। ট্রাম্পের চিঠির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা ইরানের ভবিষ্যৎ কৌশল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপের ওপর নির্ভর করবে।