Your Ads Here 100x100 |
---|
মঙ্গলবার ভোরে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪০৪ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। এ ভয়াবহ গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন, আজ (মঙ্গলবার) আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরাইল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে। আমরা দখলদার ইসরাইলের এ বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এর আগে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলা ১৬ মাসের হত্যাযজ্ঞে ইসরাইল ১৮ হাজারেরও বেশি শিশুসহ ৪৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিককে শহিদ করেছে এবং ১ লাখ ১১ হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করেছে। এ গণহত্যা মানব ইতিহাসের সকল নিষ্ঠুরতাকে ছাড়িয়ে গেছে।
তারা আরও বলেন, নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষক দাবি করা আমেরিকা শুরু থেকেই এ হত্যাযজ্ঞের প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে আসছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে হামলার অনুমোদন দিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে যে, তাদের কাছে মানবাধিকার নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দেশের জন্য বরাদ্দ; সর্বজনীন মানবতার প্রতি তাদের কোনো বিশ্বাস নেই। গাজায় নতুন করে চালানো হামলা ট্রাম্পের ১০ ফেব্রুয়ারির গাজাকে জাহান্নামে পরিণত করার হুমকিরই বাস্তবায়ন। আমরা তার এই উন্মাদনার তীব্র নিন্দা জানাই।
নেতৃবৃন্দ বিশ্ববাসীর বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, মার্কিনিদের মদদে পরিচালিত এই গণহত্যা কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়? দখলদার ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ সরকারকেও এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করতে হবে।