Your Ads Here 100x100 |
---|
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেখা করেন। সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও সেনাবাহিনীর চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। পাশাপাশি, দেশের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকা এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সেনাপ্রধান সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি তাঁর সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক সফরের বিবরণও দেন, যা দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কোন্নয়ন ও সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া, অভ্যন্তরীণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে – যেমন, সদ্য সমাপ্ত উচ্চপদস্থ পর্ষদের মূল্যায়ন ও সুপারিশ, চাকরিচ্যুত সেনা সদস্য ও জেসিওদের সুবিচার নিশ্চিতকরণ – আলোচনা করা হয়। এছাড়াও, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসায় সেনাবাহিনীর নেওয়া ব্যবস্থাপ্রণালীর বিস্তারিত তুলে ধরেন সেনাপ্রধান।
প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর অবদান ও ভূমিকা প্রশংসা করে ভবিষ্যতে তাঁদের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার আহ্বান জানান। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী তাঁদের পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে।
একই সঙ্গে, মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১৯ মার্চ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন:
“মুঘল সম্রাট আওরাঙ্গজেবের কবর সরানোর দাবিকে কেন্দ্র করে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পরার ফলে সেখানে কারফিউ জারির মত ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়, অমানবিক ও দুঃখজনক। বিজেপির মদদপুষ্ট বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলসহ সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর উস্কানীর কারণে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বার বার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে, যার জন্য বিজেপি সরকারই দায়ী। এছাড়া, বিজেপি সরকার ভারতে বসবাসকারী ২০ কোটির অধিক মুসলিমকে সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারত সরকারের মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
ভারতে মুসলিম নিধন বন্ধ করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানে আমি জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ বিষয়ে আরও জানানো হয়েছে, দাবিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।