Your Ads Here 100x100 |
---|
শ্রম আইন অনুযায়ী, শ্রমিকদের বেতন পরবর্তী মাসের প্রথম সাত কর্মদিবসের মধ্যে পরিশোধ করার কথা থাকলেও এখনো কিছু কারখানা এই নিয়মের তোয়াক্কা করে না।
বিজিএমইএ-এর প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের চেষ্টা করছি। এজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করেছি, যাতে রপ্তানিকারকদের বকেয়া নগদ প্রণোদনা মঞ্জুর করা হয় এবং তারা ইতোমধ্যে ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার অধীন মোট ২ হাজার ৮৯০টি চালু কারখানার মধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২ হাজার ৭৬৮টি প্রতিষ্ঠান ফেব্রুয়ারির বেতন পরিশোধ করেছে।
তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের অধীনে থাকা ১২২টি কারখানা এখনও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করতে পারেনি বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। এছাড়া ঈদের বোনাস দেয়নি ৭২৩টি কারখানা।
‘শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও মজুরি পরিশোধে আর্থিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন কারখানাগুলোর জন্য তহবিল ছাড়ের জন্য আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছি’, যোগ করেন তিনি।
এছাড়া, জানুয়ারি বা তার আগের সময়ের বেতন বকেয়া রয়েছে আরও ৩০টি কারখানায়।
ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধের বিষয়ে শিল্প পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের ২ হাজার ১৬৭টি কারখানা ইতোমধ্যে বোনাস পরিশোধ করেছে। তবে এখনও ৭২৩টি কারখানা তা পরিশোধ করতে পারেনি, যা মোট কারখানার ২৫ শতাংশ।
এদিকে, মার্চ মাসের জন্য ৪২২টি কারখানা শ্রমিকদের অর্ধেক বেতন অগ্রিম পরিশোধ করেছে।
অন্যদিকে, পাটকল ও অন্যান্য শিল্প কারখানা মিলিয়ে দেশের মোট ৯ হাজার ৬৯৫টি কারখানার মধ্যে ঈদুল ফিতরের বোনাস পরিশোধ করেছে ৬ হাজার ৬৭৩টি প্রতিষ্ঠান। মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করেছে ১ হাজার ৮৩৫টি কারখানা। তবে এখনও ৭ হাজার ৮৬০টি কারখানায় মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে, যা মোট কারখানার ৮১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
এদিকে, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, সুবিধা এবং ক্ষতিপূরণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার ১২টি পোশাক কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাওনা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি নেই।
এদের মধ্যে রয়েছে, ডির্ড গ্রুপের তিনটি কারখানা, মাহমুদ গ্রুপের দুটি, টিএনজেড গ্রুপের চারটি, স্টাইলক্রাফট লিমিটেড, ইয়াংওয়ান (বিডি) লিমিটেড এবং রোর ফ্যাশনস। তবে, মাহমুদ গ্রুপের মালিক ছাড়া অন্য কারখানার মালিকরা ইতোমধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।