Your Ads Here 100x100 |
---|
মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানির ঘটনায় এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা।
শুক্রবারের ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০-র বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মান্দালয়, সাগাইং, ইয়াংগন, নেপিদোতে ধসে পড়া অসংখ্য ভবনের নিচে এখনও নিখোঁজ কয়েক হাজার লোক।
ধ্বংসস্তূপ সরাতে ও জীবিত-মৃতদের উদ্ধারে মিয়ানমারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশের উদ্ধারকারী দলও কাজ করছে। তার মধ্যেই সোমবার জাতীয় শোক ঘোষণা করল মিয়ানমারের জান্তা।
প্যারিসভিত্তিক একটি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষিত এ শোকের মধ্যে মিয়ানমারে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
মিন অং হ্লাইং নেতৃত্বাধীন জান্তা ২০২১ সালে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করে নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চিকে আটক করে। এরপর থেকে তারা বিরোধী দলগুলোর ওপর ব্যাপক দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে মিয়ানমারের প্রায় সব বিরোধী গোষ্ঠী জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে; জাতিগত বিদ্রোহী একাধিক বাহিনী তো আগেই থেকেই তাদের অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে আসছিল। জান্তাবিরোধী সবার মিলিত প্রতিরোধে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ তীব্র হয়ে উঠেছে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট মানবিক সংকটের মধ্যেই মিয়ানমারের শহর ও গ্রামগুলোতে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনী। বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) সামরিক জান্তার এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে দুর্যোগপূণ এলাকাগুলোতে সহজে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ জাতিসংঘের।
মিয়ানমারের ভেতর থেকে খবর সংগ্রহ দুরূহ হওয়ায় হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য বোঝা সম্ভব হচ্ছে না বলে মত বিবিসির। তবে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার এক মডেল বলছে, মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রকট।