Your Ads Here 100x100 |
---|
মুসলমানদের পবিত্র ঈদ উৎসবের প্রথম দিনেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। রবিবার (৩০ মার্চ) ভোরের দিকে চালানো বেশ কয়েকটি বিমান হামলায় রাফাহ ও খান ইউনিস শহরে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছে। একই দিনে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, রাফাহ থেকে ১৫ জন মেডিকেল কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যারা গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারান। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
আল জাজিরার তদন্ত সংস্থা সানাদ উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে যে, ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত পাঁচটি উদ্ধারকারী যান ধ্বংস করেছে।
এক বিবৃতিতে পিআরসিএস বলেছে, এটি শুধু আমাদের জন্য নয়, মানবিক কাজ এবং সমগ্র মানবতার জন্য একটি বিপর্যয়।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’ ছাড়া কিছু নয়।
ইসরায়েল মার্চের শুরু থেকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় সেখানে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
ইর আল-বালাহ থেকেআল জাজিরার সাংবাদিক হিন্দ খোদারি বলেছেন, ঈদের দিন রোজা ভাঙার জন্য ভালো খাবার খাওয়ার কথা ছিল ফিলিস্তিনিদের। কিন্তু আজ তারা একবেলা খাবার জোগাড় করতেও পারছে না—এটি গাজার জন্য এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, গাজার বাজারগুলোতে খাদ্যের অভাব এবং দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক পরিবারের জন্য পর্যাপ্ত খাবার জোগাড় করা ‘অসম্ভব মিশনে’ পরিণত হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং তাদের নেতাদের গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, হামাসের হাতে থাকা ৫৯ জন বন্দির মুক্তির জন্য চাপ আরও বাড়ানো হবে, যার মধ্যে ৩৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল নতুন কিছু শর্ত আরোপ করেছে, যা জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে পরিবর্তন করবে।
প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে, প্রতিটি সপ্তাহে কিছু বন্দি মুক্তি পাওয়ার পর দুই পক্ষ একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বাকি বন্দিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছিল।
কিন্তু ইসরায়েল এখন দাবি করছে, হামাসকে সমস্ত বন্দি মুক্তি দিতে হবে, তবে ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধের কোনও প্রতিশ্রুতি দেবে না। হামাস এই শর্ত প্রত্যাখ্যান করায়, ইসরায়েল গাজায় আবারও বোমা হামলা শুরু করেছে এবং সেখানে নতুন করে সেনা মোতায়েন করেছে।