Your Ads Here 100x100 |
---|
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টসহ বিভিন্ন স্থানে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ঈদের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই সৈকতের সবক’টি পয়েন্ট ছিল লোকে-লোকারণ্য।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
পর্যটকেরা জানান, যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ কাটাতে কক্সবাজারের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন তারা। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে, ঈদের ছুটির দ্বিতীয় দিনেও লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে কক্সবাজার। রমজানে পর্যটক কম থাকলেও ঈদের ছুটিতে ভিড় বাড়ছে।
হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সাড়ে পাঁচ শতাধিক আবাসিক হোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ বুকড রয়েছে। তৃতীয় দিন থেকে শতভাগ বুকিং পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকের ঢল অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার আবাসিক হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, ‘ঈদের প্রথম দিনে পর্যটক তুলনামূলক কম থাকলেও দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ এপ্রিল এক লাখের বেশি পর্যটক কক্সবাজার এসেছেন এবং ৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ সংখ্যা ৭ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রসঙ্গে জানান, প্রতিটি হোটেলে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টানানো থাকে এবং প্রতারণা এড়াতে অনলাইন বুকিং ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।
এদিকে, সৈকতে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সী সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার ওসমান গনি জানান, বিপদ এড়াতে লাইফগার্ড সদস্যরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন এবং পর্যটকদের নির্ধারিত স্থানে গোসলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের পরিদর্শক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘সৈকতসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত টহল ও অভিযোগ কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে। জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটকদের যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পাশাপাশি মেরিন ড্রাইভ, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক, বার্মিজ মার্কেট, মহেশখালী ও রামুর বিভিন্ন স্থানে পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।