Your Ads Here 100x100 |
---|
সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাজিচওড়া গ্রামে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে মাংস কম দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ২ এপ্রিল দিবাগত মধ্যরাতে এ হানাহানি ঘটে, যা স্থানীয়ভাবে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
বিয়ের আয়োজন ছিল গ্রামের একরামুল খানের মেয়ে বীথি আক্তার ও মনসুর আলীর ছেলে আল মামুনের মধ্যে। পূর্ব আলোচনা অনুযায়ী, কনেপক্ষ বরপক্ষকে বিকেলে কেনাকাটা শেষে অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানালেও দেরিতে উপস্থিতির কারণে শুরু থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিবেশ । ২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাতের খাবারে বরযাত্রীদের আপ্যায়নকালে সংঘাতের সূত্রপাত।
বরপক্ষের অভিযোগ, খাবার পরিবেশনে পর্যাপ্ত লোকবল ছিল না। প্লেটে বালু ও বেসিনে পানি না থাকার পাশাপাশি তরকারি ও মাংসের অপ্রতুলতা নিয়ে তারা আপত্তি তোলেন। এক পর্যায়ে কনেপক্ষের চাচা বাড়ির ভেতর থেকে লাঠি নিয়ে এসে বিদ্যুতের আলো নিভিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। অন্ধকারে নারী ও শিশুসহ উভয় পক্ষের লোকজন লাঠির আঘাতে জখম হন। এ সময় বরপক্ষের গাড়িও আটক করে রাখে কনেপক্ষ।
স্থানীয়রা রক্তাক্ত আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ জনের মধ্যে ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন । বর ও কনে উভয়েই আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সংঘর্ষের পর তাদের দেখা পর্যন্ত হয়নি।
বরের ভগ্নিপতি সুজন ইসলাম বলেন, “৪০ জনের পরিবর্তে ৩২ জন গিয়েছিলাম, কিন্তু খাবার দেওয়া হয়েছিল মাত্র দুজন লোকের মাধ্যমে। মাংসের বদলে শুধু ভাত দেওয়া হয়েছিল”।
কনের চাচাতো ভাই নয়ন খান দাবি করেন, “বরপক্ষ অতিরিক্ত লোক নিয়ে এসেছিল। রাতের খাবার সংকটে সামান্য পরিমাণে সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল”।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরনবী জানান, কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় গ্রামবাসী হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে, যেখানে কেউ কেউ আয়োজনকারীদের দায়িত্বহীনতা আঁচড়ে কেউ বা সংঘাতের নিন্দা জানিয়েছেন।